হাজী মোঃ জাকির হোসেন: নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে কৃষক ও শাক সবজি বিক্রেতাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কৃষকরা ফসলি জমি থেকে শাক সবজি উঠিয়ে সবজি বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করে। সবজি বিক্রেতারা এগুলো সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে।
সিদ্ধিরগঞ্জের কৃষকরা ক্ষেত খামারগুলো লালশাক, পুঁইশাক, ধনেপাতা, পালংশাক, পাটশাক, কলমিশাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজিতে ভরপুর চাষ করে থাকে। সিদ্ধিরগঞ্জে মূলত অন্য ফসলের এখন আবাদ হয়না। শাক-সবজি চাষ করেই চলে এখানকার কৃষকদের জীবন-জীবিকা। এসব শাক-সবজি সিদ্ধিরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দূর-দূরান্তের এলাকাগুলোতে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় খুব খুশি এখানকার কৃষকরা।
সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেক কৃষকই তার নিজের সবজি ক্ষেতের যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েকজন কৃষককে সবজি ক্ষেতে সার দিতে দেখা গেছে আবার কয়েকজনকে ক্ষেতে পানি দিতে দেখা গেছে। অনেকেই আবার সবজি চাষের জন্য মাটি প্রস্তুত করছেন।
কয়েকজনকে আবার দেখা গেছে নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে। তবে বেশিরভাগ কৃষকের পাটশাক চাষ করতে বেশি দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা হলে জানা যায় এই সময়টায় পাটশাকের চাহিদা বেশি থাকে। তাই দাম ভালো পাওয়ার পাশাপাশি অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে বাকি সময়টায় এখানে লালশাক চাষবাদ হয় বেশি।
কৃষক আসান মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, উনি এবার আট বিঘা জমিতে লালশাক, পুঁইশাক, ধনেপাতা, পালংশাক, পাটশাক, কলমিশাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজিতে চাষ করে থাকেন।
শাক- সবজি বিক্রিতা আঃ বারেক বলেন, আমি প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে কৃষকদের কাছে থেকে শাক-সবজি নিতে আসি। তারা পাইকারি দামে আমার কাছে বিক্রি করে। সেগুলো ভ্যানে করে হিরাঝিল সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি।