
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
বন্ধ হয়নি কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালু রয়েছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পূর্বচিলা রহমানিয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো,হাবিবুর রহমান ও তার কোচিং সহযোগী শিক্ষক ছোনাউঠা গ্রামের মো,জসীম খানের পূত্র কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মো,সজীব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কোচিং বাণিজ্য। স্হানীয় সূত্রে ও সরেজমিনে পাওয়া গেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো আলতাফ হোসেন মুসল্লী বাড়ী সংলগ্ন পশ্বিম পাশে নীলগঞ্জ গ্রামে মোঃ হাবিবুর রহমানের নিজ বাসার মধ্যে চালু রেখেছেন কোচিংয়ের আদলে প্রাইভেট পড়ানো। তিনি সরকার কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং বন্ধ রাখতে বললেও তার কোনো তোয়াক্কা না করে প্রাইভেট এর আদলে রেখেছেন কোচিং বাণিজ্য শুধু তাই নয়, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের আগের দিন বিশেষ প্রস্তুতি হিসেবে প্রশ্ন তৈরি করে তা সমাধান করে দিচ্ছেন কোচিং শিক্ষক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মো,সজীব।
সরেজমিনে গিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় অত্র পূর্বচিলা রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো,হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগী কলেজ পড়ুয়া ছাত্র কোচিং শিক্ষক মো, সজীব পরীক্ষার সময় অনেক সুযোগ সুবিধা দিবে এ প্রলোভনে ও রাতে বাসায় বসে পড়ান এর বিনিময়ে হাতিয়ে নেন প্রতি ছাত্রীদের থেকে হাজার হাজার টাকা।
কোচিং শিক্ষার্থী ৯ ম শ্রেনীর ছাত্রী মোসাঃ নাহিদা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান শিক্ষকরা হলেন শিক্ষাগুরু, মাথার তাজ, তাদের নৈতিকতা এত নিচু বা হ্রাস পেয়েছে ভাবতে ও পারি না। এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো,মোতালেব মিয়া বলেন, বিদ্যালয় বসে কোচিং করান না, হয়তবা বাড়ি তে বসে করাতে পারেন আমি জেনে এর ব্যবস্থা নেব। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং বন্ধ রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারপরও যদি কোনো শিক্ষক কোচিং এর সাথে লিপ্ত থাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।