![](https://www.janatarsomoy24.com/wp-content/uploads/2022/09/5200255.jpg)
ডেস্ক রিপোর্ট: সবচেয়ে বেশি সময় ধরে শাসন করা ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে বাকিংহ্যাম প্যালেস জানিয়েছে।
রানি এলিজাবেথ ১৯৫২ সাল থেকে টানা ৭০ বছর ধরে সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের দীর্ঘ ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থেকেছেন। তাঁর শাসনামলে ১৬ জন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাকিংহ্যাম প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অসুস্থ। তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
এমন খবর জানার পর ৯৬ বছর বয়সী রানির পাশে থাকার জন্য তার কাছে ছুটে আসেন তার ছেলে-মেয়ে ও রাজ পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা।
রানি এলিজাবেথ শেষ সময়ে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন। এখানে গ্রীষ্মকালীন সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে তার বড় ছেলে ছিল। অসুস্থতার খবর শোনার পর অন্যরাও আসা শুরু করেন।
বুধবার ভার্চ্যুয়ালি হওয়া প্রিভি কাউন্সিলে যোগ দেননি রানি এলিজাবেথ। কারণ চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার জন্য বলেন।
গত জুন মাসে তিনি সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেন। এ উপলক্ষে যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর। তিনি ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের বার্কলে স্কয়ারের কাছে একটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্য এবং আরও ১৫টি কমনওয়েলথ রাজ্যের রানি ছিলেন তিনি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দীর্ঘ শাসনামল তাঁর দৃঢ় কর্তব্যবোধ এবং তাঁর সিংহাসন এবং জনগণের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করার দৃঢ় সংকল্পকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যেমন বিশ্বে ব্রিটিশ প্রভাব ব্যাপকভাবে কমতে দেখেছেন, তেমনি দেখেছেন সমাজের দ্রুত পরিবর্তন। একই সঙ্গে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হতেও দেখেছেন। তবে অনেক ঝড়ঝঞ্ঝাতেও রাজতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন সফলতার সঙ্গে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ রাজা জর্জ এবং রানি এলিজাবেথের প্রথম সন্তান। তাঁর বাবা ১৯৩৬ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। সেই সময় থেকেই এলিজাবেথ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন।
রাজকুমারী হিসেবে জীবনের প্রথম দিনগুলো পিকাডিলি, লন্ডন ও রিচমন্ড পার্কের হোয়াইট লজে পার করেন তিনি। ১৯৪০ সালে নিরাপত্তার জন্য উইন্ডসর ক্যাসেলে রাখা হয় রাজপরিবারের সদস্যদের।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়টা সেখানেই কাটে তাঁর। রাজকুমারী এলিজাবেথ এবং তাঁর ছোট বোন প্রিন্সেস মার্গারেট ওই বাড়ি থেকে লেখাপড়া করেন।