সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোরগ্যাং চক্রের সদস্যদের ছুরিকাঘাতে ইমন নামে একজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছে। ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেল পাঁচটায় সানারপাড় বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহামড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যা পূর্ব বাঘমারা এলাকায় মামা ভাগিনা গলিতে একদল সন্ত্রাসী নিহত ইমনসহ ৩’জনের উপর হামলা করে। হামলার ঘটনায় মশিউর রহমান রাজু নামে ১’সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত ইমন আদর্শনগর এলাকার শাহ আলমের ছেলে। গুরুতর আহত শাহরিয়ার জয় ও তরিকুজ্জামান রনি কলেজ ছাত্র।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওহাব জানান, নিহত ইমন ও হামলাকারী কিশোরগ্যাং গ্রুপের নেতা রাসেল ওরফে ডংকু রাসেল বন্ধু ছিলেন। রাসেল বিপদগামী হয়ে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় ইমন তার সঙ্গ ত্যাগ করে। এতে রাসেলের সঙ্গে ইমনের শত্রুতা তৈরি হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল গত বুধবার সকালে তার গ্যাংয়ের আট দশজন সদস্য নিয়ে ইমনকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে। পরে সন্ধ্যার দিকে ইমন, শাহরিয়ার জয় ও তরিকুজ্জামান রনিকে পূর্ব বাঘমারা মামা ভাগিনা গলিতে পেয়ে রাসেল ও তার সঙ্গীরা ফের হামলা চালায়। এসময় ইমন ও জয়কে সন্ত্রাসী রাসেল ও মশিউর রহমান রাজু উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এলাকাবাসী নিহত ইমনের লাশ নিয়ে মিছিলসহ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে প্রায় আধঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ অবরোধকারীদের সড়ক থেকে নামিয়ে দিয়ে যান চলাচলে স্বভাবিক করে।
নিহত ইমনের মা শাহিনুর বেগম বলেন, আমার ছেলের উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে জানতে পারি এঘটনায় জড়িত রয়েছে সন্ত্রাসী ডংকু রাসেল, মশিউর রহমান রাজু, স্বপন, আব্দূল খলিল, মো. ইয়াসিন, রাজিব ও বিজয়সহ বেশ কয়েকজন। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডংকু রাসেলের নেতৃত্বে বাঘমারা, আদর্শনগর, মুক্তিনগর ও রসুলবাগ এলাকায় কিশোরগ্যাং চক্র গড়ে উঠেছে। তারা এলাকায় ইভটিজিং, মাদক, ছিনতাই ও চুরিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হতে হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পিপিএম বার বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে লোকজন লাশ নিয়ে সড়ক থেকে চলে যায়। হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।