আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছিয়া ও কালিপুরা গ্রামে দুই বাড়ীতে ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। ডাকাতদল এলোপাথারি কুপিয়ে ৬ জনকে গুরুতর আহত করেছে। আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আবুল কালাম মৃধা নামের একজনকে স্থানীয়রা ধরে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র শীলের ঘরের গ্রিল কেটে সোমবার গভীর রাতে ১০-১২ জনের ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। গৃহকর্তা নারায়ণ চন্দ্র শীলকে হাতুরীপেটা ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার ডাক চিৎকারে ঘরের লোকজন জেগে উঠলে ডাকাতরা তাদেরও কুপিয়ে জখম করে। পরে ডাকাতরা তার ঘরে থাকা ৫ লক্ষ টাকা ও সাড়ে চার ভরি স্বনার্লংকার নিয়ে যায়। ডাকাতের হামলায় নারায়ণ চন্দ্র শীল (৫৫), তার স্ত্রী কুন্তি রানী (৫৪), বিরাজ বালা (৬৫), নয়ন চন্দ্র শীল (২৬) গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনার ঘন্টা খানেক পরে পার্শ্ববর্ত ী কালিপুরা গ্রামে জাকির তালুকদারের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে। পরে গৃহকতার্ জাকির ও তার ছেলে আসাদুজ্জামান বেঁধে মারধর করে ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ওই রাতেই আহত ৬ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জাহেদ আলম ইরাম গুরুতর আহত নারায়ণ চন্দ্র শীল (৫৫), তার স্ত্রী কুন্তি রানী (৫৪), বিরাজ বালা (৬৫), নয়ন চন্দ্র শীল (২৬), জাকির তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত আবুল কালাম মৃধা (৪৫) নামের একজনকে স্থানীয়রা ধরে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে। কালামের বাড়ী ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার জোড়খালী গ্রামে। তার বাবার নাম রশিদ মৃধা। আটককৃত ডাকাত কালাম মৃধা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ হেফাজনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত নয়ন চন্দ্র শীল বলেন, ১০-১২ জনের ডাকাত দল ঘরের গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে ঘরের সকলকে এলোপাথারি কুপিয়ে ঘরে থাকা ৫ লক্ষ টাকা ও সাড়ে চার ভরি স্বনার্লংকার নিয়ে গেছে।
কুকুয়া ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি দলনেতা মোঃ নাসির উদ্দিন বলে, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে স্থানে ছুটে যাই পরে আটককৃত ডাকাতকে পুলিশের হাতে তুলে দেই এবং আহতদের কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাহেদ আলম ইরাম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত পঁাচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।