মোঃ আরিফ হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ :
বন্দরের রুপালি আবাসিক এলাকার ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজু ওরফে চুল্লারাজু ও রাজু ওরফে স্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ষ্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের সদস্য মেরাজ হোসেন প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আলামিন নামে এক ব্যক্তি। অন্যদিকে চুল্লারাজু গ্রুপের সদস্যরা নাদিম মিয়া নামে অপর ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাজু ওরফে চুল্লা রাজুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জানের সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিষ্টিক সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ষ্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের উপর হামলা চালায়। এসময় মেরাজ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
পরে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আলামিন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় আলামিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ষ্ট্যান্ড রাজু গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চুল্লা রাজু গ্রুপের সদস্য নাদিম মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
রুপালি আবাসিক এলাকার ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ইতিপূর্বে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দর থানায় দুই পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত মেরাজ হোসেন বন্দর থানায় দায়েরকৃত এজহার ভুক্ত সাত নাম্বার আসামী। ষ্ট্যান্ড রাজুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মিয়ার বাড়ি ও ওই এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায় এ বাহিনী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মিয়া জানান, রুপালী আবাসিক এলাকায় ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য