জোবায়ের পারভেজ শোভন, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের হোগলাকান্দী গ্রামে রাতের আধারে পুলিশ ও প্রবাসী সহ ৮ থেকে ৯টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় চোরেরা। ২৭(আগস্ট) শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটে এই চুরির ঘটনা।
সকালে ঘটনার জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এছাড়া একদিনে একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলকাবাসী।
এই বিষয়ে কাজী নাসির উদ্দিন বলেন, তারা ফ্যামিলি ট্রিপে গতকাল রাতে কুয়াকাটা ভ্রমনে জান যার কারনে তাদের বাড়ি ফাঁকা ছিল এই সুযোগে দরজার তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানান। এসময় ঐ বাড়িথেকে একটি স্মার্ট ফোন, প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার সহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি হয়েছে দাবি করেন বাড়ির মালিক।
মালয়েশিয়া প্রবাসী মঞ্জিল মোল্লা বলেন, তিনি কিছু দিন আগে প্রবাস থেকে দেশে এসেছেন।স্ব-স্ত্রীক শ্বশুড় বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন সে রাতেই বাড়ির গেট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ প্রায় দের লক্ষ টাকা, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য চুরি করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মূলত এই চোরেরা ফাঁকা বাড়ি টার্গেট করে এই চুরির প্লান করে। এরপর তারা পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেট করা বাড়িগুলোতে বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে এইধরনের চুরির ঘটনা ঘটায়। এছাড়া চুরির সময় পার্শ্ববর্তী ঘরে থাকা মানুষদের ঘরের দরজা বাহির থেকেই বন্ধ করে দেয়।
এই বিষয়ে সাবেক কমিশনার মোঃ আব্বাস বলেন, হঠাৎ সকাল বেলা খবর পান এলাকায় একাধিক বাড়িতে চুরি হয়েছে। খোজ নিয়ে জানতে পারেন চুরি হওয়া প্রতিটি বাড়ির মানুষ গতকাল দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন না। মূলত ফাঁকা বাড়ি গুলিকে টার্গেট করে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার একটি বাড়িতে চুরির সংবাদ শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারেন কয়েকটি বাড়ি তে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মূলত যেসব বাড়িতে কেউ ছিলো না, কেউ বেড়াতে গেছে এমন সব বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দ্রুত এদের আইনের আওতায় এনে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।