এযেন কপাল পোড়ার গল্প! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর এবার ইউরোপা লিগ থেকেও বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে এমন হার কোচ, খেলোয়াড় কিংবা সমর্থক, মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তাদের এই হারের কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা দিয়েছে ঘরের মাঠে সমর্থন না পাওয়ার বিষয়টি।
প্রতিপক্ষ সমর্থকদের এমন চেষ্টাকে প্রশংসা করলেও কোচ জাভি হার্নান্দেজের নিজ দলের সমর্থকদের একহাত নিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতের এই হারের পর। এবার শোনা যাচ্ছে, ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এভাবে বাড়তি সমর্থক জায়গা দিয়ে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে বার্সেলোনা।
বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচকে সামনে রেখে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে কাতালুনিয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন প্রায় ৩০ হাজারের বেশি সমর্থক। বার্সেলোনার পুরো মৌসুমের টিকিটধারীদের থেকে টিকিট কিনে তারা শেষমেশ চলে এসেছিলেন গ্যালারিতে।
শুরু থেকে সিঁটি আর দুয়োতে বার্সাকে রীতিমতো ‘নিজভূমে পরবাসী’ হওয়ার অনুভূতিই দিচ্ছিলেন তারা। ম্যাচে ৪৯ হাজার বার্সেলোনা সমর্থক হাজির থাকলেও আইনট্র্যাখট সমর্থকদের তুলনায় তাদের কণ্ঠ যেন রীতিমতো মিনমিনই করছিল। এরপর ফ্রাঙ্কফুর্ট ইতিহাস গড়েছে ৩-২ গোলে বার্সাকে হারিয়ে৷
ম্যাচে হারের পর কোচ আর বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাও এই বাড়তি সমর্থকের ন্যু ক্যাম্পে আসার বিষয়টাকে একহাত নেন। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানাচ্ছে, সেই কাণ্ডের ফলে এবার শাস্তিও নেমে আসতে যাচ্ছে বার্সার ভাগ্যে। উয়েফার পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ আসছে ক্লাবটির বিরুদ্ধে।
বাড়তি সফরকারী সমর্থকদেরকে গ্যালারিতে জায়গা দিতে হয়েছে উয়েফার বেধে দেওয়া ছকের বাইরে গিয়ে। এরপর আইনট্র্যাখট সমর্থকদের এক পক্ষ গ্যালারিতে আতশবাজির মতো কিছু বস্তুও পুড়িয়েছেন। সেটা নজরে এড়ায়নি উয়েফার নিরাপত্তা কোঅর্ডিনেটরের। তার প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে এই ঘটনাগুলোর।
সমর্থকরা শাস্তির মুখে পড়তে পারেন গ্যালারিতে আতশবাজির মতো বস্তু পোড়ানোর কারণে। উয়েফার নিরাপত্তা নীতিমালায় যাকে দেখা হয় ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড হিসেবে। আর বার্সেলোনার শাস্তি পাওয়ার কারণ হতে পারে উয়েফার শৃঙ্খলা বিষয়ক নীতিমালার ১৬তম পরিচ্ছেদের প্রতি অবহেলা।
তাহলে, এখন প্রশ্ন উঠছে কী শাস্তি পেতে যাচ্ছে দুই পক্ষ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বার্সেলোনাকে জরিমানা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আর আইনট্র্যাখট সমর্থকরা গ্যালারিতে অগ্নিসংযোগের কারণে চলতি মৌসুমে ইউরোপা লিগে আর অ্যাওয়ে টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন, জানাচ্ছে মুন্দো দেপোর্তিভো।