
ছবি: রয়টার্স
ডেস্ক রিপোর্ট: আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোলেই ম্যাচের ৩৫ মিনিটে লিড নেয় আার্জেন্টিনা। যেটি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে মেসির করা প্রথম গোল। আর এটি ছিল ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে মেসির ক্যারিয়ারের ১০০০তম ম্যাচ।
আর্জেন্টাইন জাদুকর এগিয়ে দেওয়ার পর অন্য গোলটা ছিল অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষকের উপহার। যে উপহার লুফে নেন হুলিয়ান মার্তিনেজ। তবে শেষ দিকে দারুণ এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সকারুদের দৌড় থামল দ্বিতীয় রাউন্ডেই। আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতল ২–১ গোলে।
এদিন ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনাকে ভয় না পাওয়ার কথা বলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের শুরুতেও ছিল সেই ছাপ। পোল্যান্ডের মতো নিচে নেমে না এসে মাঠে নিজেদের পজিশন ধরে রেখেই খেলা শুরু করে তারা। আর্জেন্টিনা পাসের পর পাস দিয়ে চেষ্টা করছিল জায়গা বের করে আক্রমণে যেতে। তবে মনোযোগ ধরে রেখে অস্ট্রেলিয়া খুব বেশি সুযোগ দিচ্ছিল না আর্জেন্টাইনদের।
শুধু লিওনেল মেসিদের ঠেকিয়ে রাখা নয়, আক্রমণেও চোখ ছিল সকারুদের। কয়েকবার ওপরে ওঠে আর্জেন্টানই রক্ষণের পরীক্ষাও নিয়েছিল তারা। আর অস্ট্রেলিয়ার কৌশলের কারণে আর্জেন্টিনা চাইলেও অলআউট আক্রমণে যেতে পারছিল না।
বিরতির পরও জমে ওঠে লড়াই। পিছিয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়া প্রথমার্ধের কৌশল ধরে রেখে আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে। আর্জেন্টিনাও বল পেলে ওঠে আসছিল ওপরে। এর মাঝে মেসি ডি–বক্সের ভেতর থেকে আবার শট নিয়েছিলেন তবে তাতে গোল আসেনি।
একটু পর আর্জেন্টাইন রক্ষণের ভুলে আরেকটু হলে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার রক্ষণের ভুল অস্ট্রেলিয়া কাজে লাগাতে না পারলেও, অস্ট্রেলিয়ার ভুল ঠিকই কাজে লাগিয়ে জোড়া গোলের লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ব্যাক পাসে অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হলেও এগিয়ে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ।
৭৭ মিনিটে ক্রেইগ গুডইনের ডি–বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ভলি এনজো ফার্নান্দেজের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ালে ব্যবধান কমায় অস্ট্রেলিয়া। একটু পর অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি দারুণ সুযোগ অল্পের জন্য জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।