ছবি: এএফপি
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলেও অবশ্য ৩–১ গোলে হারের পর বিব্রতকর রেকর্ড গড়ে স্বাগতিক কাতার এখন বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। পরের ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে নেদারল্যান্ডস না হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিবে কাতার।
বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে বিদায় নেওয়া দলটির নাম হবে স্বাগতিক দল কাতার। সব আসর মিলিয়ে দ্বিতীয় স্বাগতিক দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব বা প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাবে তারা। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম আয়োজক দল হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। তবে তারা লড়াই করেছে গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
অপরদিকে স্বাগতিক কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সেনেগাল। এবারই প্রথম কোনো ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হলো কাতার ও সেনেগাল।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোল করার চেষ্টা করেছে সেনেগাল। আর কাতার ব্যস্ত ছিল রক্ষণ সামলাতে। ম্যাচের ২৪ ও ২৮ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি সেনেগাল। এরপর ম্যাচের ৪১ মিনিটে কাতারের ডিফেন্ডার খৌকি ও গোলকিপার বারশামকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন বৌলায়ে দিয়া।
বিরতি থেকে ফিরেই আবারও গোলের দেখা পায় সেনেগাল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে কর্নার আদায় করে সেনেগাল। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সেই কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে কাতারের জালে জড়ান ফামারা ডিইধিউ। সেনেগালের লিড বাড়িয়ে দেন তিনি। দুই গোলের লিড নিয়ে স্বাগতিকদের ওপর আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকে সেনেগাল।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলের দেখা পায় কাতার। মুতারি চমৎকার হেডে ব্যবধান ২-১ এ নামান। ম্যাচে উত্তেজনা ফিরলেও তা বেশিক্ষণ থাকেনি। ৮৪ মিনিটে কাতারের ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে আবার ব্যবধান দুই গোলে বাড়ান ডিয়েং।
