হাফেজ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম: জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশদিন অনেক ফজিলত আছে এর মধ্যে একদিন হলো ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস যা জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখকে বলে হয়।
কোরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন , والفجر وليل عشروالشفع والوتر অনুবাদ:- শপথ উষার। শপথ ১০ রজনীর, শপথ জোড় ও বেজোড়ের। (সূরা ফজর : আয়াত নং-১-৩)। এ আয়াতে জোড় বলতে ঈদুল আজহার দিন আর বেজোড় বলতে আরাফা দিবসকে বুঝানো হয়েছে।হাদিস শরীফ এসেছে :-আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : আরাফার দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন : ‘তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায় ?
আরও একটি হাদিসে এসেছে আবু কাতাদাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুল (সাঃ) কে আরাফার দিনের রোজার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আরাফার দিনের রোজা বিগত ও সামনের এক বছরের গুনাহ সমূহের জন্য কাফফারা স্বরূপ।”সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬২।বছরের যেকোনো সময়ই যেকোনো নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। তবে কিছু কিছু সময়ে কিছু আমলের মারতাবা অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক বৃদ্ধি হয়। তেমনি এক আমল আরাফার দিবসের রোজা।যে রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার পূর্বের একবছর এবং পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করেন সেটাই হলো আরাফার দিবসের রোজা। আরাফার এ রোজা ফরয, ওয়াজিব বা মুস্তাহাব এরকম কিছু না। এ রোজা না রাখলে গোনাহ হবে না। তবে এ রোজার ফজিলত অন্যান্য নফল রোজার চেয়ে অধিক।তাই সকল পাঠকের কাছে দ্বীনী দাওয়াত থাকবে আমরা রসুল(স:)এর অনুসারী উম্মত হয়ে ফজিলতময় আমলগুলোর আমল করে নিজ জীন্দেগী গুনামুক্ত করি। নিজে আমল রকিব অন্যকে আমলের উৎসাহিত করব।
আরও পড়ুন
অক্টোবর ২৬, ২০২৪ ৫:২২ অপরাহ্ণ
অক্টোবর ২৬, ২০২৪ ৫:১৪ অপরাহ্ণ