
মোঃ রফিকুল ইসলাম মৃধা, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এক পথসভার মধ্য দিয়ে, এ স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মোহছেন উদ্দিন-এর সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ সভায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজীজ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম সিদ্দিক আলী, ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বানিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান এস আর আনসারী বিল্টু, ঘিওর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রামপ্রসাদ সরকার দীপু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, তৎকালীণ সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা ঘাট হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেছেন বলে জানা গেছে। মাঝে- মধ্যেই তিনি এখানে বিশ্রাম নিয়েছেন এবং চা পান করেছেন বলেও স্থানীয়রা দাবী করেন।
বঙ্গবন্ধুর এই স্মৃতিময় কীর্তি অবিস্মরণীয় করে রাখতে এখানে স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর এ স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা শেষে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এসে তারা এ দাবী জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আলীম মিন্টু বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ঘিওরের মাটিতে পা দেয়ায়, আমরা ঘিওরবাসী নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি। এজন্য আমরা গর্বিত। তার এ স্মৃতিচিহ্ন যাতে কখনো মুছে না যায়, এজন্য স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে এটি সংরক্ষণের দাবী করছি।” এখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলে, প্রজন্ম- প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজরিত এ জায়গাটি সংরক্ষিত থাকবে বলে আশা করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত সকলেই তার এ দাবীর প্রতি সহমত পোষণ করেন।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম সিদ্দিক আলী জানান, বঙ্গবন্ধু বহুবার এখান দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেছেন। এখানে বিশ্রাম নিয়েছেন। চা পান করেছেন। তার এ স্মৃতিময় জায়গাটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হামিদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।