আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে এই ঘটনায় আমতলী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এক অংশের নেতাকর্মীরা।
উভয়গ্রুপের এই কর্মসূচীকে ঘিরে আমতলীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, কোনরূপ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলায় বারতি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নাজমুল আহসান নান্নুর নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল আমতলী চৌরাস্তা দিয়ে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় এসে এক বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুসা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম হাসান সাধারণ সম্পাদক জাহিদ দেওয়ান, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট আরিফুর রহমান আরিফ, মিঠু মৃধা, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শাহজাহান কবির, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফকির প্রমুখ।
বক্তারা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম খানের উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান। সভার শেষ মূহুর্তে চিকিৎসাধীন আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, আমাকে মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশ হত্যার উদ্দেশ্যে এই হমলা চালানো হয়, আমি এই হামলার বিচার চাই।
অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এক অংশ উপজেলার সাকিব প্লাজার সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে, সমাবেশে মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে ক্ষোভ করে। এ সময় উপজেলা প্রশাসন দুই গ্রুপকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এঘটনায় আমতলী পৌর শহরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর আগে গত ১৬ আগষ্ট আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে কুপিয়ে জখন করে সন্ত্রাসীরা এর ১৬দিন পর গত ২ সেপ্টেম্বর পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ৭ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। সেই থেকেই এই পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচী চলে আসছে।