আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা, গুরুতর আঘাত ও হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মোঃ কবির হোসেন খান বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মোঃ সবুজ মেলকার, মোঃ শাহাব উদ্দিন শিহাব, মোঃ ইশফাক আহম্মেদ ত্বোহা, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মোঃ মুজিবুর রহমান, মোঃ মতিয়ার রহমান ও মোঃ জাকারিয়া হোসেন।
এর আগে গত ১৬ আগষ্ট আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খানের উপর হামলা করে দূর্বিত্তরা। এই ঘটনার ১৬ দিন পর এই মামলা দায়ের করা হলো।
মামলা সূত্র জানা যায়, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গত ১৬ আগষ্ট রাত (আট)০৮ ঘটিকার সময় আমতলী আলহেলাল মোড়, সাকিব প্লাজার সামনে দিয়ে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান যাওয়ার সময় সবুজ মেলকার সহ অন্যান্য আসামীরা তার উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ঝাপিয়ে পরে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় মোয়াজ্জেম হোসেনকে স্থানীয় লোকজন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত বরিশাল স্থানন্তর করে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আমতলী থানায় মামলা না নেওয়ায় ও চিকিৎসার কারনে মামলায় বিলম্ব হয়েছে বলে যানান আহতর ভাতিজা ও মামলার বাদী মোঃ কবির হোসেন।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতেই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মোয়াজ্জেম হোসেন খানের আইনজীবি মোসাঃ জাকিয়া আক্তার বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন কুপিয়ে জখমের বর্বরোচিত ঘটনায় আমতলী পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও তার বড় ভাই মোঃ মজিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, মামলার আদেশের নথি পাইনি। আদালতের আদেশের প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।