মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি: একজন নেতা কি বা কেমন হওয়া উচিত! একজন আদর্শবান, দেশপ্রেমিক নেতার মধ্যে থাকতে হবে প্রতিশ্রুতি, ইতিবাচক মনোভাব, অনুপ্রেরণা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতা, নির্মোহ গুণাবলী। আজ আমরা এমনই একজন প্রান্তিক নেতার কথা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। তিনি নির্মোহ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। তিনি ছোট বেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর আদর্শে নিজে গড়ে তুলেছেন। যেকারণে যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শের সৈনিক সাদামাটা জীবন-যাপন করেন। তিনি হলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মোঃ আজিজুল ইসলাম মুকুল। তিনি আজিজ মুকুল নামে ব্যাপক পরিচিত।
আগামী শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর- ২০২২) বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সোনারগাঁও উপজেলায় সম্মেলন হতে যাচ্ছে। মোঃ আজিজুল ইসলাম মুকুলকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে রাখা হবে আশা করছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূল নেতাকর্মী ও বঙ্গবন্ধুর ভক্তদের মধ্য থেকে আমাদের প্রতিনিধিকে অনেকেই বলেছেন, একজন ভালো নেতা হতে হলে প্রথমে তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। তার মধ্যে দায়িত্বশীলতা, দায়বদ্ধতা ও সততা থাকতে হবে। মোঃ আজিজুল ইসলাম মুকুল তেমনই একজন মানুষ। তারা বলেন, আমরা আশাবাদী এবার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগে এই নির্মোহ ত্যাগী নেতা মূল্যায়িত হবেন।
এবার আমরা মোঃ আজিজুল ইসলাম মুকুল- এর রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তিনি স্কু্লে পড়ার সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আওয়ামী রাজনীতির সাথে নিজেকে যুক্ত করেন এবং নিজকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখেন। এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দায়িত্বটা সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময়ই নিয়ে নেন। নবম শ্রেনীতে পড়ার সময় সনমান্দী ইউনিয়নের বানিয়াতলী- মাঝের চর খেলার মাঠ (২২ বিঘা) উদ্ধারে প্রধান ভূমিকা পালন করে যদিও কুচক্রী মহলের কারসাজির কাছে হারতে হয়েছে তাকে। সোনারগাঁও ছাত্রলীগের প্রথম ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হোন তিনি। ৭৫ পরবর্তী যে কয়েকজন ছাত্রনেতা সোনারগাঁও ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শুরু করে তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব তিনি। সোনারগাঁও উপজেলা শাখার তৎকালীন জয় বাংলা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’ এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। নব্বইয়ের গণআন্দোলন শীর্ষ জনপ্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ছিলেন সোনারগাঁয়ে অধিক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা। ৯১ হইতে ৯৬ পর্যন্ত সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পর্যায়ক্রমে জি এস- ভিপি’র দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সোনারগাঁও ছাত্রলীগের সোনালি যুগের এই তুখোড় এই ছাত্রনেতা ২০০৩ সালের সহোদর ভাইসহ জামাত-বিএনপি জোটের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় কারাভোগ করেন। রাজনৈতিক ইনস্টিটিউট বলে খ্যাত এই সাবেক ছাত্রনেতার হাতধরে সোনারগাঁও সহ আশপাশের উপজেলায় অনেক নেতা আজ প্রতিষ্ঠিত। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় অন্যতম এই সাদা মনের মানুষটি, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, খেলাঘর সোনারগাঁ ও পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এবং সোনারগাঁও শিল্পকলা একাডেমির অন্যতম পরিচালক হিসেবে সোনারগাঁয়ের শিশুকিশোরদের সাংস্কৃতিকমনা, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, মানবিক, বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্র পড়িয়ে যাচ্ছেন। মুজিব আদর্শ লালন করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আজিজুল ইসলাম মুকুল আত্মপ্রচার বিমুখ একজন মানুষ। নীরবে কাজ করে যেতেই পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মী ও বঙ্গবন্ধুর ভক্তরা চায়, আগামী সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামিলীগ এই মেধাবী সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজিজুল ইসলাম মুকুলকে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামিলীগ যথাযথ মূলায়ণ করুক।