
এ এইচ অনিক:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এক সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৪ নং টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তিন জন প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালে মুক্তি যোদ্ধো চালাকালীন সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে চলে যান। প্রশিক্ষন শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরে সঙ্গি সাথিদের নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।
যে সকল বীর সেনাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা তাঁদের মধ্যে মিয়া আসাদুজ্জামান অন্যতম। তার জন্ম ৫ জানুয়ারী ১৯৫০ সালে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের শিকিপাড়া গ্রামের মিয়া বাড়িতে ।মিয়া আসাদুজ্জামানের পিতা মরহুম আঃ শুকুর মিয়া, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আসাদুজ্জামান ৩য়।
তাঁর শিক্ষা জীবনে তিন ১৯৬৭ সালে কামার গ্রাম কাঞ্চন একাডেমি স্কুল থেকে এস এস সি পাস করেন ও ১৯৬৯ সালে যশোর সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচ এ সি পাস করেছিলেন। বর্তমানে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়োক সম্পাদক, এছাড়ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার কল্যান, ইউনাইটেড একাডেমি স্কুল, মালা স্কুল শিখি পাড়া মহিলা মাদ্রাসা সহ স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বীর মুক্তিযুদ্ধা ও ৪ নং টগরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, এলাকর জনগণের ভালবাসা ও আন্তরিকতা আছে বলেই বিপুল ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। গত একবছরে তাদের চাহিদার কতটুক করতে পেরেছেন ইউনিয়নের জনগনই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের ৪ নং টগর বন্দ ইউনিয়নটি সম্পুর্ন মধুমতি নদীর তীরবর্তী হওয়াতে বেশির ভাগ এলাকাই নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে, এখনো বহু পরিবারের জমি জমা বাড়িঘর হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে আছেন, আর তাদের দরকার অনেক কিছুর যেটা আমার একার পক্ষে পুরন করা কষ্টকর। আমার বিশ্বাস তাদের চাহিদা মত সাহায্য সহযোগিত করাও আমার একার পক্ষে সম্ভব না। এখানে প্রথমেই প্রয়োজন নদীভাঙ্গন রোধে জরুরী পদক্ষেপ।তিনি আরো বলেন এলকাটা বিশাল তাই বড়ো ধরনের বরাদ্দ আনতে হবে, যেটা একজন ইউ পি চেয়ারম্যানের একার পক্ষে সম্ভব হয়না। তবুও আমরা ভাগ্যবান মাননীয় সাংসদ আমাদের এলাকার সন্তান, এবং আমার এই ইউনিয়নের পানাইল গ্রামেই তার জন্ম, যে-কারণে এলাকার উন্নয়নে সবসময়েই তার আন্তরিকতা ছিল এবং আছে বলেই নদী ভাঙ্গন রোধে বড় ধরনের একটি কাজ তিনি হাতে নিয়েছেন ,আমরা আশাবাদী খুব দ্রুতই কাজটি শুরুহবে।
আগামী দিনগুলোতে আমার এলাকার জনসাধারণের মনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এলাকার রাস্তা ঘাট সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজগুলো করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সনামধন্য ৪ নং টগরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আসাদুজ্জামান।