বার্ধক্যকে স্বাগত জানাবো না
-শাহজাহান সিরাজ সবুজ
শরীরের ভিতরে বাসা বেঁধেছে ছত্রাক,
চামড়ায় বার্ধক্যের দুর্দশা দৃশ্যমান,
বলিরেখা জানান দিচ্ছে,
শরীরে বার্ধক্যের আগমনী বার্তা,
আমি বার্ধক্যকে স্বাগত জানাবো না,
বার্ধক্যে আমার ভীষণ ভয়।
বার্ধক্যকে ঠেকাতে পারবো না জানি,
কালের নিয়মে দেহে বাসা সে বাঁধবেই।
কিন্তু আমার মনকে ছুঁতে দেবো না।
চিরসবুজ, চিরতরুণ থাকতে চাই,
তাই আমার হৃদয়ে বার্ধক্যের ঠাঁই নাই।
সোনালি অতীত পেরিয়ে জীবনে নেমেছে,
বার্ধক্যের অনিবার্য উলঙ্গ যন্ত্রনা।
যৌবনের সীমানা জুড়ে নানান আয়োজনে,
উম্মুক্ত ছিলো উঞ্চ সুখের কামনা-বাসনা।
বার্ধক্যের আগমনে উবে গেছে সব হাওয়ায়।
বেহায়া মন আজো খোঁজে রূপ- রস- গন্ধ।
মনটা আমার সুনিপুণ শিল্পকর্মের ক্যানভাস।
তাই বার্ধক্যে স্বাগত জানাবো না।
পৃথিবীর বয়স বেড়েছে, সাথে আমারও,
তবুও খেয়ালী মনের রসনা মিটতে চায় না।
হীমশীতল বার্ধক্যের গহীনে,
ছন্দময়, গতিময় জীবন এখন ছায়ান্যে।
একখন্ড হৃদপিন্ডের নিঃশ্বাসে- বিশ্বাসে,
বার্ধক্য তোমায় বাসা বাঁধতে দেবো না।
নিখাঁদ বাঁচতে চাওয়া জন্মগত অধিকার,
একখণ্ড হৃদপিণ্ড রাখবো নির্ভেজাল।
জীবনের রন্ধে রন্ধে কতো যে লড়েছি,
জিতেছি- হেরেছে, জিতবো- হারবো,
তবুও বার্ধক্যেকে স্বাগত জানাবো না।