কবি নূরুল ইসলাম বিপিএম: ঊষা! সেই ছোট্টবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি। পাড়াগাঁয়ের ধুলিমাটি কাঁদা পথে কোথায় নেই আমাদের পদচিহ্ন বলতে পারিস! আমরা দু’জন একসাথে জীবনের কতটি বছর পাড়ি দিয়েছি। মাঠেঘাটে খালে বিলে স্কুলে-কলেজে বলতে পারিস একসাথে কোথায় নেই আমাদের বিচরণ! খেলার সাথী পড়ার সাথী। সাথে-পাশে কেটেছে প্রায় ১৮টি বছর।
কেউ কোনোদিন আলাদা হয়ে কিছু করিনি কিছু ভাবিনি। এভাবেই দিন মাস বছর যাচ্ছিলো।
জানি না একদিন তুই যেন কী বলতে চেয়েও বলিসনি। আমারও তেমন কিছু মনে হয়নি। ভেবেছিলাম হয়তো সাধারণ কিছু! তার দু’দিন পর তুই নববধূ সেজে ঐ যে চলে গেলি, সেদিন বুঝলাম হয়তো তুই তেমন কিছু নিয়েই বলতে চেয়েছিলি। আমি সে কথা মনে করে মনে মনে হেসেছিলাম! পাগলী কোথাকার! আমি তো তখন একটুও বুঝতে পারিনি রে, তোকে আমি ভালোবেসেছিলাম!
ঊষা জানিস, যতই দিন যায় ততোই তোর কথাই কেন যেন সারাক্ষণ আমার মনে পড়ে! কোনোকিছুই এখন তোকে ছাড়া আমার ভালো লাগে না,কেন বলতে পারিস? সত্যিই তো আমার নাওয়া-খাওয়া কোনোকিছুতেই কেন আর মন বসে না! সারাক্ষণ বিষণ্ণ মনে কেন যেন তোর কথাই ভাবি-রে ঊষা!
তবে কি সত্যিই আমি তোকে ভালোবেসেছিলাম! হয়তো তাই হবেরে ঊষা! তোরও কি আমার মতোন তেমনটি হয়? যাকগে এখন আর ওসব কথা। তুই খুব ভালো থাকিস ঊষা,খুব ভালো থাকিস।
ইতি
তোর খেলার সাথী চয়ন।