লাইফস্টাইল ডেস্ক:: নাশপাতি ও আপেল একই পরিবারের ফল হলেও স্বাদের ভিন্নতার কারণে অনেকেই দুটোর একটাকেই বেছে নেন। তবে দুটোরই পুষ্টিগুণ কাছাকাছি। আমাদের দেশে খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও নাশপাতির কদর আছে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।
নাশপাতি ও আপেল রোজাসিয়ে পরিবারের উদ্ভিদ। ঠান্ডা অবস্থায় পাকা নাশপাতিতে চমৎকার সুগন্ধ হয়। নাশপাতি খুবই রসালো, তবে গাছে থাকা অবস্থায় ভালোভাবে পাকে না। নাশপাতি থেকে অনেকে জ্যাম, জেলি তৈরি করেন।
নাশপাতির ৮৩ শতাংশই পানি। এ ছাড়া প্রচুর খাদ্য আঁশ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। তাই নাশপাতি পানিশূন্যতা দূর করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। কম ক্যালরি হওয়ায় ওজন কমাতে নাশপাতি সহায়তা করে। রক্তে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়। ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বক উজ্জ্বল রাখে। সর্দি-কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে। সর্বোপরি নাশপাতি কোলাইটিস, দীর্ঘস্থায়ী গলব্লাডার, বাত, গেঁটে বাত চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এবার দেখে নেওয়া যাক পুষ্টিগুণের দিক থেকে কোনটি এগিয়ে নাশপাতি না আপেল।
১০০ গ্রাম আপেলে রয়েছে ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ১৮ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম চর্বি, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ লবণ, ৮১ গ্রাম পানি, ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ মিলিগ্রাম লোহা, শূন্য দশমিক ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ ও শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২।
অপরদিকে, ১০০ গ্রাম নাশপাতিতে রয়েছে ৬৯ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ১৬ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৩ গ্রাম চর্বি, শূন্য দশমিক ২ গ্রাম খনিজ লবণ, ৮৩ গ্রাম পানি, ৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম লোহা, শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ ও শূন্য দশমিক শূন্য ৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২।
দেখা যাচ্ছে, আপেল ও নাশপাতিতে সব পুষ্টি উপাদানই মোটামুটি কাছাকাছি রয়েছে। আর জলীয় অংশ বা পানির পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন কমাতে বা হিট স্ট্রোকে খুবই কার্যকর নাশপাতি। তাই যারা আপেল ভালোবাসেন, অথচ স্বাদে ভিন্নতা চান, তারা খাদ্যতালিকায় নাশপাতিও রাখতে পারেন।