ডেস্ক রিপোর্ট: বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উচ্চমাত্রায় আমিষ ও আঁশ রয়েছে বাদামে। স্নেহজাতীয় পদার্থও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। স্নেহজাতীয় উপাদানের বেশির ভাগই প্রয়োজনীয় ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। খারাপ ধরনের স্নেহপদার্থ থাকে খুবই কম।
কিছু খনিজ পদার্থও থাকে বাদামে, বিশেষত ভিটামিন ‘ই’ আর ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন ‘ই’ ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে কিংবা রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে, তারা বাদাম খেতে পারেন। ত্বকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে বাদাম। রোগ প্রতিরোধে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা আছে।
সুষম খাবার প্রয়োজন, অথচ সময়ও বেশি নেই হাতে। এমন পরিস্থিতিতে কাজে লাগে বাদাম। আমন্ড থেকে কাজু, চীনা বাদাম থেকে পেস্তা। বাঙালির রান্নাঘরে পরিচিতি সব ধরনের বাদামই। তালিকায় রয়েছে আখরোট ও হেজেলনাটও।
বাদামকে হাই-ক্যালোরি ফুড বলা হয়। ওজন কমাতে সাহায্য করে বাদাম। নিয়ন্ত্রিত ডায়েটে সবধরনের বাদাম থাকলে পুষ্টির পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
পেস্তা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। যারা ওবেসিটিতে ভুগছেন বা ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কাজে লাগে পেস্তা। বাদামে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা কোলেস্টেরলে লাগাম রাখে।
মেটাবলিক সিনড্রোমে এমন একটি অবস্থা, যা হার্টের রোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডায়েটে প্রতিদিন নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে বাদাম রাখলে উপকার মিলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাদামে ভরপুর প্রদাহরোধী যৌগ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, চোট-আঘাতের সময়ে শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে। তাকেই সাহায্য করে বাদামের এই পুষ্টিগুণ। পাচনতন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়।
পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিনই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বাদাম থেকে প্রয়োজনীয় ফাইবার মেলে।
সূত্র: ইন্টারনেট