নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী রাজধানীর প্রগতি স্মরণীতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রভাত পরিবহনের ঘাতক বাসের কনডাক্টর ও হেলপার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর হাকিমের পৃথক খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামিরা।
ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী বাসের কনডাক্টর উয়াসিন আরাফতের এবং হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী হেলপার ইব্রাহীম হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণ পূর্বক লিপিবদ্ধ করেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম আসামিদের সাতদিন রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন।
এক প্রতিবেদন দখিল করে বলেন, আসামিরা স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবাবন্দি দিতে চায়। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। গত ২৭ মার্চ দুই আসামিকে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, আসামিদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারকদ্বয়। আগামী ২২ এপ্রিল মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এ মামলায় গত ২৮ মার্চ ঘাতক বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম স্বীকারোক্তি দিয়েছে। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিকে গ্রেপ্তারের পরদিন ২০ মার্চ তাকে তাকে আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ড চাওয়া হলে সাতদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ সকাল ৭ সাড়ে টার দিকে প্রগতি স্মরণী এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসচাপায় আবরার নিহত হয়। দিবাগত রাতে নিহত আবরারের পিতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ২৭৯/ ৩৩৮ (ক)/৩০৪/ ও ১০৯ ধারায় রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, হেলপার ও মালিককে।