
এ এইচ অনিক বিশেষ প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন । প্রতিবাদে উপজেলার ফার্মেসিগুলো গতকাল বিকেল থেকে সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করা হয়, ঘোষণা অমান্য করে দুটি ফার্মেসি খুলে দেওয়া হলে সকল ফার্মেসী আন্দোলন থেকে বেরহয়ে আসেন উপজেলা ফার্মেসি ব্যাবসায়ী গন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে নানা অনিয়মের কারণে উপজেলার চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুইটি ফার্মেসিকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। সেই সাথে দুইটি ফার্মেসিকে সাময়িকভাবে বন্ধকরে দেওয়া হয়।
অর্থদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো, হেলথ এইড মেডিকেল সেন্টারকে পঁচিশ হাজার টাকা, মেডিপ্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পঁচিশ হাজার টাকা, স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ও জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দশ হাজার টাক, আব্দুর রহমান ফার্মেসীকে দশ হাজার টাকা ও আনোয়ারা ফার্মেসিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স না থাকা ও নবায়ন না করা, অনুমদন হীন ভাবে ঝুঁকি নিয়ে এক্স-রে মেশিন পরিচালনা করা, সি ক্যাটাগরির লাইসেন্স নিয়ে বি ক্যাটাগরি কার্যক্রম পরিচালনা, প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলিজিস্ট না রেখেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা, ডেঙ্গু পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ গ্রহণের অপরাধে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও লাইসেন্স ও রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় ফার্মেসি দু’টিতে জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে ফার্মেসি দু’টিকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এসময় জেলা সিভিল সার্জন মো. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমুল হাসানসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে সহায়তা করেন। এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন, নানা অনিয়মের কারণে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুইটি ফার্মেসীকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফার্মেসি পরিচালনা করার জন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাদের সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অনিয়ম প্রতিরোধ ও জনস্বার্থ রক্ষায় এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।