নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারের আশুলিয়ার বেরন এর একজন সহজ, সরল, শান্তিপ্রিয়, আইন মান্যকারী প্রকৃত একজন গৃহবধূকে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণ এবং ৩০, লক্ষ টাকা কর্য গ্রহন মাধ্যমে নিয়ে আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
কাশেমপুর থানাধীন বাগবাড়ি নিজ বাসভবন থেকে মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একজন গৃহবধূকে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ৩০, লক্ষ টাকা কর্য গ্রহন মাধ্যমে নিয়ে আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামিকে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন কে গ্রেপ্তার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ৫৫ বছর বয়সী জসিম উদ্দিন আশুলিয়ার জামগড়ার বেরন এলাকার বাসিন্দা সেখানে ভুক্তভোগীর সঙ্গে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে সংসার করে আসছিলো ভুক্তভোগী স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করলে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক জসিম উদ্দিন।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ চৌধুরী অমিত বলেন, অভিযুক্তের স্বামী প্রবাসে থাকায় ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতিবেশী ও তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় জসিম উদ্দিন। তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ওই নারী প্রায় চার মাস আগে আশুলিয়া থানায় অভিযোগের পর আদালতে জসিমের নামে মামলা করেন।
মামলায় উল্যেখিত গত ০৮/০৩/২০১২ইং তারিখ বেলা ১২.০০ ঘটিকার সময় ১৫০/- টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সাক্ষীদের সম্মুখে কর্জ নামা দলিলের মাধ্যমে নাম স্বাক্ষর করে ৩০,০০,০০০/-(ত্রিশ লক্ষ) টাকা গ্রহন করেন এবং বাদিনী এবং সাক্ষীদের আশ্বস্ত করেন যত দ্রুত সম্ভব বাদিনীর পাওনা টাকা আসামী পরিশোধ করিয়া দিবেন কিন্তু প্রতারক ও পরধনলোভী আসামী বাদিনীকে সহজ, সরল পাইয়া দীর্ঘ কালক্ষেপন করিয়া বাদিনীর পাওনা টাকা পরিশোধ না করিয়া তাল বাহানা করছিলো।
বাদিনী বিষয়টি নিয়া আসামীর সহিত স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করতে চেষ্টা করেও প্রতারক আসামী বাদিনীর পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বাদিনীর পাওনা টাকা নিয়ে অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে লিপ্ত অব্যাহত রাখে। বাদিনী সর্বশেষ গত ০৩/০৩/২০১৩ইং তারিখে বেলা ১২.টার সময় বাদিনী তাহার বাসাতে সাক্ষীদের সম্মুখে “আসামীর নিকট বাদিনীর পাওনা টাকা দাবি করলে আসামীকে সরাসরি বাদীর পাওনা টাকা পরিশোধ করিতে অস্বীকার করে।
বাদিনী উক্ত বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করিতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় আশুলিয়া থানাতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বাদিনীকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করেন। মামলার ঘটনাস্থল বিজ্ঞ আদালতের এখতিয়ারাধীন হওয়ায় বাদিনী বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আশায় অত্র মামলা দায়ের করিলেন।
অত্র মামলার আসামী বাদিনী থেকে কর্জ নামা দলিরে মাধ্যমে নিজ নাম স্বাক্ষর করে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা কর্জ গ্রহন করিয়া পরবর্তীতে অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গ প্রতারনার মাধ্যমে বাদিনীকে পাওনা টাকা আত্মসাৎ করিয়া দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধ সংঘটন করিয়াছে।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় । বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের (সিজেএম) আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠান বিচারিক আদালত।