
এ এইচ অনিক বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আলফাডাঙ্গা থানার গোপালপুর ইউনিয়নের কুচিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ বাবন আলী ওরফে আশরাফ আলী ও তার মেয়ে সালমা বেগম গত ২০১০ সালের দিকে এলাকায় ক্ষুদ্র পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি এনজিও চালুকরে এসময় স্থানীয়দের কাছে প্রকাশপায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার কথা। ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে এনজিও টির মালিক বাবা ও মেয়ের নামে ১৮ টি সিঅর মামলা হয় , এর প্রেক্ষিতে বাবা ও মেয়ে দুজনে মিলে গ্রাহকদের সমস্ত আমানত নিয়ে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা করাহয় এর প্রত্যেকটি মামলায় তাদের ১ বছর মেয়াদী সাজা এবং ৩৮লক্ষ ৪০হাজার টাকার জরিমানা সংক্রান্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সহ ৮টি সিআর মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অত্র থানায় মুলতবী ছিল। দীর্ঘ মুলতবি থাকা পরোনা সমূহ তামিলের লক্ষ্যে একাধিক অভিযান চালিয় ব্যর্থহলেও আলফাডাঙ্গা থানার এসআই বিনয় বাড়ৈ, বিট অফিসার ও এসআই মোশারফ হোসেন সহ এসআই রবিউল ইসলাম সহ তাদের যৌথ কর্ম তৎপরতার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় আজ ২৬ জুন ২০২৩ ভোর ৫ টায় রাজধানী ঢাকার খিলখেত থানা এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে এবং দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্যেখঃ মামলা আসামী বাবা ও মেয়ে গ্রেফতার এডাতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নাম পরিবর্তন করে ছদ্মনামে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন ও নিজ এলাকার সাথে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু তাহের আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আসামি সালমা বেগমের বিরুদ্ধে ৫টি সিআর সাজা এবং ৪টি সিআর পরোয়ানা সহ তার বাবা সৈয়দ আশরাফ আলী বাবন আলীর বিরুদ্ধে
৫টি সিআর সাজা এবং ৪টি সিআর পরোয়ানার মোট ১০ টি সিআর সাজা ও ৮ টি সিআর পরোয়ানায় গ্রেফতার করে তাদেরকে পুলিশ স্কটযোগে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।