রাজু রায়হান, বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে মামলা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে বরগুনার সহকারী জেলা জজ আদালতে মামলাটি করেন কাজী’নজরুল ইসলাম সড়কের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আবুল কালাম। মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেয়া জন্য শো’কাজ সহ মূল নথি তলব করেছেন আদালত। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন বরগুনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাওসার উদ্দিন ও এসিল্যান্ড নিজাম উদ্দিন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা শহরের এস এ অথবা আর এস খতিয়ানে রেকর্ড-ভূক্ত ৩২ একর জমি খাস খতিয়ানে নিয়ে একশনা বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এজন্য তারা আদালত এবং ভূমি অফিসে বেশ কয়েকটি মা’মলা দিয়েছে স্থানীয় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে যারা ৮০ থেকে ১০০ বছর ধরে জমিতে বসবাস করছে। তাদের রেকর্ড বাতিল করে শহরের সকল জমি খাশ খতিয়ান করার জন্য ভূমি অফিসে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এই বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের জমির মালিক গোলাম সরোয়ার টুকু সাহেব বলেন, এটা প্রশাসনের এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া কিছুই নয়। এভাবে ডিসি কর্তৃক ব্যবসায়ীদের মামলা দিয়ে হয়রানির কারনে ইতিমধ্যে একজন ব্যবসায়ীর মা স্ট্রোক করেছেন তিনি এখন মৃত্যূ পথযাত্রী, অনেকের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার কারণে তাঁরা এখন ব্যাংকের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে হিমসিম খাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, এবং ইউএনও সদর কাওসার উদ্দিন ও এসি ল্যান্ড মোঃ নিজাম উদ্দিন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুকৌশলে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বরগুনা জেলা শহরের সকল স্থাপনা ঘরবাড়ি মার্কেট দোকানপাট এস,এ খতিয়ান ও ১৯৬২ সাল হতে দখলীয় সৃজিত খতিয়ানের ভুমির মালিকদের ১ নং খাস খতিয়ানে নেয়ার জন্য গোটা শহরের ৩২ একর ভূমি খাস খতিয়ানভুক্ত করার জন্য জনসাধারণকে নোটিশ দিচ্ছে এবং কিছু মামলা করেছে। নির্বাচনের পূর্বে এইসব কর্মকান্ড সরকারী চেয়ারে বসে অপকৌশলে সরকার বিরোধী উস্কানি মূলক কাজ, এতে করে মানুষ ধীরে ধীরে সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ হচ্ছে। তার কারন ৭০- ৮০ বছর যাবত নির্বিঘ্নে খাজনা কর পরিশোধ করে যারা বসবাস ও ব্যবসা করছেন তাদের খাস’খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করা অবিচার। এটা শেখ হাসিনার সরকারের আদর্শে মধ্যে যায় না।
এ বিষয়ে বরগুনার সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দি বলেন, ৩২ একর ভূমি খাঁস খতিয়ানে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবাইকেই একে একে নোটিশ দেয়া হবে। আমার এখানে শুনানী হবে পরে কেউ ক্ষুদ্ধ হলে এডিসি রাজস্ব অফিসে শুনানী করতে পারবেন। এরপরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুনানী হবে সেখান থেকে ভূমি কমিশনেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আদালতে মা’মলা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আদালত আমাদের যে নির্দেশনা দিবেন তা আমাদের মানতে হবে। আদালত স্থগিত করলে আমরা প্রক্রিয়া বন্ধ রাখবো।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, আদলত থেকে এখনো কোনো নোটিশ পাইনি আদালত আমাকে নোটিশ দিলে আদালতের মাধ্যমে আমি তার জবাব দিবেন বলে জানিয়েছেন।