মেহেদী হাসান লিটন, বিশেষ প্রতিনিধি: ব্যাংকের চেক প্রতারণা মামলায় বগুড়ায় পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী প্রতারক সাইফুল ইসলামকে ৬ মাস কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার দিন আসামী সাইফুল আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ আগষ্ট বগুড়ার ৩য় যুগ্ম দায়রা আদালতের বিচারক মোছা: রুবিনা বেগম এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজলার নামুজা এলাকার সাহেব আলীর ছেলে। সে বগুড়া সদর থানায় কর্মরত সাবেক ইন্সপক্টর (তদন্ত) ও সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল শিবগঞ্জ থানায় সোর্স হিসব কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
মামলার প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করার সময় বগুড়া শহরর নাটাইপাড়া নিবাসী জনৈক মাহফুজুল ইসলাম এর নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা কর্জ নেন সাইফুল। যথাসময় উক্ত টাকা পরিশাধের জন্য সাইফুল ইসলাম স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর একটি চক প্রদান করেন। চেকটি নগদায়ন না হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনার সার্টিফিকেট প্রদান করলে উক্ত বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলা নং ১১৮০/২১ (দায়রা)।
আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রতারণার অভিযাগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৮৮১ সালের এন.আই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারা মোতাবেক সাইফুল ইসলামকে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ লক্ষ টাকা বাদী পাবেন এবং ১০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় আসামী বিজ্ঞ আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেয়া হয়। অভিযাগ রয়েছে, সোর্স সাইফুল থানায় নানা সময় আটককৃত পরিত্যাক্ত মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহন নিলামে ক্রয় করে দেয়ার নামে এবং মামলায় আসামীর নাম কেটে নেয়া ও নাম ঢুকে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কর টাকা আদায় করতেন।