ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে শুরু হয় শপথ অনুষ্ঠান। দ্রৌপদী মুর্মুকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা। খবর এনডিটিভির।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
এ ছাড়া দ্রৌপদী মুর্মু’র নিজ রাজ্য ওড়িশার মূখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা এবং বিভিন্ন দলের এমপিরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ঝাড়খণ্ডের সাবেক গভর্নর দ্রৌপদী মুর্মু গত ১৮ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এনডিএর প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মু ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিরোধীদলীয় প্রার্থী যশবন্ত সিনহা।
আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লেন ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্ম।
শপথের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘একটি ছোট আদিবাসী গ্রাম থেকে আমি আমার জীবন শুরু করেছি। যে পটভূমি থেকে আমার যাত্রা সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করাও স্বপ্নের মতো ছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু বহু বাধা সত্ত্বেও দৃঢ় সংকল্পের কারনে আমি ছিলাম আমার গ্রামের প্রথম মেয়ে যে কলেজে গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার নির্বচিত হওয়া প্রমাণ করে যে দেশের দরিদ্ররা স্বপ্ন দেখতে পারে এবং তা পূরণও করতে পারে।’
প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে নজর দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
দ্রৌপদী মুর্মু সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নারী। এর আগে তিনি ঝাড়খন্ড রাজ্যের গভর্ণর ছিলেন। ওড়িশার সাঁওতাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই নারী ছিলেন ক্ষমতাসীন বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী।
তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিভা পাতিল প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাঁচবছর দায়িত্ব পালন করেন।
দ্রৌপদী মুর্মু গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের (লোকসভা এবং রাজ্যসভা) সদস্য, দেশটির সবগুলো রাজ্যের বিধানসভার সদস্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর প্রতিনিধিদের ৬৪ শতাংশ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।