মোঃ রফিকুল ইসলাম মৃধা : ঘিওর (মানিকগঞ্জ): মানিকগঞ্জের ঘিওরে মোহরানার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করছেন উপজেলার নালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান। কিছু লোক তাঁর সম্মান নষ্ট করার জন্য সামাজিকভাবে মীমাংশিত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে, তার নামে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ফেসবুকের কল্যাণে মানিকগঞ্জ জেলাধীন হরিরামপুর উপজেলার জনৈক বশিরের সঙ্গে ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের প্রিয়া (ছদ্মনাম) নামের এক নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারী তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে ওই নারী জানতে পারেন বশির বিবাহিত। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।
এমতাবস্থায় বশিরের প্রথম স্ত্রী ফরিদার অনুরোধে ডিভোর্সে রাজী হয় প্রিয়া। গত ৮ মে তাদের ডিভোর্স হয়। সেখানে নালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর’সহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ডিভোর্স সংক্রান্ত মীমাংশায় প্রিয়া নামের ওই নারীকে মোহরানা বাবদ ৭০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য ধার্য্য করা হয়। উক্ত ৭০ হাজার টাকা বশিরের প্রথম স্ত্রী কর্তৃক পরিশোধ করা হয়। কিন্তু প্রিয়া ৩০ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানান।
এ নিয়ে একাধিক পত্রিকায় হাবিব মেম্বারের নামে অর্থ আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে বশিরের প্রথম স্ত্রী ফরিদা উক্ত এলাকায় এসে হাবিব মেম্বারকে সাথে নিয়ে বাকী ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন এবং প্রিয়ার হাতে তুলে দেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) বশিরের প্রথম স্ত্রী ফরিদা মুঠোফোনে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। এসময় উক্ত হাবিব মেম্বার সম্পূর্ণ নির্দোষ বলেও দাবী করেন তিনি।
এবিষয়ে নালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মধু জানান, তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এজন্য তিনি ভাল জানেন না। তবে এমন কিছু ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন।