
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের আশুলিয়ায় দি ল্যাবএইডে প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল অপারেশন করায় রহিমা বেগম নামক (৬০) নামক এক বৃদ্ধানারী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বামী রেজাউল ইসলাম বিচারের দাবী করে আশুলিয়ার জামগড়া ৬তলা এলাকায় অবস্থিত দি ল্যাব এইড হাসপাতালে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী রেজাউল ইসলাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল আমার স্ত্রীকে অপারেশন করার জন্য দি ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করেন, ওই দিনই তার স্ত্রীকে অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশন করার পর থেকেই রোগীর অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ সহ চিকিৎসক কে জানানো হলে তারা কোন ব্যবস্থা নেইনি, এমনকি তারা বলেওনি যে ভূল অপারেশন করা হয়েছে।
রোগী রোহিমা বেগমের অবস্থা বেশি খারাপের দিকে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার দীর্ঘ ১৮ দিন পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে রোগীর প্রসাবের নাল কেটে অন্য জায়গায় জয়েন করে দিয়া হয়েছে কোন ভূল অপারেশনে, পরবর্তীতে দ্রুত পুনরায় অপারেশন করা হয়েছে।অভিযোগকারি ( ভুক্তভোগীর স্বামী) রেজাউল ইসলাম বলেন আমার স্ত্রীর অবস্থা এখনো আশঙ্কা মুক্ত হয়নি। আমি দ্রুত এ অন্যায়ের বিচার চাই। তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন এই ভূয়া হাসপাতাল বন্ধ করা হোক।তিনি আরো বলেন এই হাসপাতাল এ পূর্বের আরো ভূল চিকিৎসার রেকর্ড রয়েছে, কিন্তু এলাকায়, হাসপাতাল মালিকের প্রভাব প্রতিপত্তী থাকায় তাদের কোন বিচার হয় না।
উল্লেখ্যঃ এই হাসপাতালে এর আগেও এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে, সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের মাথা কাটা থেকে শুরু করে একাধিক ভূল অপারেশনের অভিযোগ রয়েছে। ভূক্তভোগীরা সাধারণ গরিব মানুষ হওয়ার কারনে বিভিন্ন প্রভাব বিস্তার করে তাদের তাড়িয়ে দেন হাসপাতালের মালিক মোশারফ হোসেন মন্টু।
এ বিষয়ে দি ল্যাব এইড হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দেখেন বিষয়টা আসলে ডাক্তারের ভূলের কারনে হয়েছে এতে আমাদের কোন হাত ছিলনা। যেহেতু আমার হাসপাতালের ঘটনা সেহেতু দায়ভার আমাকেই নিতে হবে আমি এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা প্রার্থী এবং আমি তাদের সাথে বিষয়টি সমাধান করে নিব। পূর্বে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সায়েমুল হুদা জানান, আমরা এধরনের কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।