বাংলাদেশের জনসাধারণের বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা বিগত ৫৩ বছর যাবত্ পদদলিত হয়েছে। বর্তমান সময়েও জনসাধারণ বাকস্বাধীনতা পেয়েছে কি-না, তার পক্ষে বা বিপক্ষে দৃঢ়ভাবে বলা মুশকিল। অপ্রিয় হলেও সত্য, সাধারণ মানুষ এখনো কথা বলতে ভয় পায়। সাধারণ মানুষের নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। মেপে-মেপে, হিসেব করে নয়, মুক্তমনে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের বাকস্বাধীনতা না থাকলে, যেকোনো সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সম্ভবনা তৈরি হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে কথা বলা যায়। নাগরিকদের সব বিষয়ে কথা বলার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। উপদেষ্টা পরিষদ ও সমন্বয়কদের কোনো পদক্ষেপ নাগরিকদের পছন্দ না হলে, নাগরিকরা যেনো তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তা নাহলে নাগরিকরা পতিত শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিচ্ছবি হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিবেচনা করতে শুরু করবে। বিগত ৫৩ বছর মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিলনা, এটা প্রমাণিত সত্য। কিন্তু ছাত্র- জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরে না পায়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
বিগত ৫৩ বছরে মানুষের বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করায় আন্দোলনটি গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী, জঘন্য স্বৈরচারী সরকারের পতন হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পৈশাচিক কায়দায় দমনের চেষ্টা করেছিল পতিত সরকার। কারণ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। জনগণের ক্ষোভ-দুঃখ-বেদনাগুলো সরকারের কাছে পৌঁছানোর সব দরজা বন্ধ ছিল। ফলশ্রুতিতে সরকার জনবিচ্ছিন্ন সরকারে পরিণত হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার দেশ শাসন করেছিল কোনো বৈধ ম্যান্ডেট ছাড়া, ভোট ছাড়া। নানা কূটকৌশলে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল। ক্ষমতায় আজীবন থাকার সর্বগ্রাসী মানসিকতা শেখ হাসিনা সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। বিগত সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ঢাকতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। অবাধে লুণ্ঠনের জন্য শেখ হাসিনা সরকার সালমান এফ রহমান, এস আলম গংদের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্যই সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিল। দুর্নীতিই আসলে সরকারকে স্বৈরাচার করেছিল, হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করেছিল। দুর্নীতির কারণেই তারা রীতিমতো দানবে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের সাতকাহন দেশের জনসাধারণের মুখস্থ-ঠোঁটস্থ। তাই শেখ হাসিনা সরকার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে দলীয়করণ করেছিল শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামীলীগ। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর চরম অবমাননা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে আওয়ামীলীগকে। এর জন্য একতরফাভাবে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দায়ী। শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের চরম স্বৈরাচারী আচরণের কারণে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী ও ঐতিহাসিকবাহি রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলীগ অস্তিত্ব সংকটে। শুধু অস্তিত্ব সংকট বললে ভুল হবে, দলটি ব্যাপক জনরোষের শিকার হয়েছে, হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দলটিকে নিষিদ্ধ করার আলোচনাও সামনে আসছে। সময় বলে দিবে আওয়ামিলীগ আদৌও নিষিদ্ধ হচ্ছে কি-না। আমাদের দেশের ক্ষমতা প্রত্যাশিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামীলীগের করুণ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। জনতা সহ্য করে কিন্তু ধৈর্য হারালে কি পরিণতি হতে পারে, তা আমরা নিকট অতীতে প্রত্যক্ষ করেছি। অতএব ক্ষমতাবান ও ক্ষমতা প্রত্যাশি সবারই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের অসংখ্য কারণে মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, অতিকথন। শেখ হাসিনা সরকারের সদস্যগণ ও আওয়ামীলীগ নেতাদের অতিকথন জাতি সাড়ে ১৫ বছর সহ্য করতে বাধ্য হয়েছিল। শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের রাজাকারের বাচ্চা, নাতিপুতি বলেছিলেন। শেখ হাসিনার এই অতিকথন তাঁর পতনকে তরান্বিত করেছিল। অতিকথনের মতো ভুল রাষ্ট্রপতিও করলেন, উনার অতিকথনের কারণে তিনি রাষ্ট্রপতির পদে বহাল থাকা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির বিষয়ে একেকজন একেকভাবে মতামত ব্যক্ত করছেন। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সাংবিধানিক জটিলতা রয়েছে কিনা, তা কেবল সংবিধান বিশেষজ্ঞরাই ভালোভাবে বলতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি বাস্তব অবস্থা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, এমনটা না হলে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতেন না। গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের মাধ্যমে কোনো সরকারের পতন হলে বা পালিয়ে গেলে সেক্ষেত্রে পদত্যাগের বিষয়টি তেমন কোনো বিবেচ্য বিষয় না। পতিত সরকার প্রধান পদত্যাগ করা আর না করা সমান কথা। অতিকথনের ফল ভালো হয়না, যার বাস্তব উদাহরণ হলো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি। অতএব রাস্ট্রীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে অতিকথন বলা থেকে সকলকেই বিরত থাকতে হবে। অতিকথন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনেও সুফল বয়ে আনেনা।
জুলাই- আগস্টের সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনআকাঙক্ষা বাস্তবায়নে কতটা সফল হবে, তা সময় বলে দিবে। কিন্তু প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের উচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাপোর্ট করা। বর্তমান সরকার যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে তাদের পরিণতি কি হবে, তা নিটক অতীত আমাদের কাছে জ্বলন্ত সাক্ষী। আওয়ামীলীগের সমালোচনা করেন, সমস্যা নেই। আওয়ামীলীগের সমালোচনা করার চেয়ে রাস্ট্র সংস্কার বা রাস্ট্র মেরামতে মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ অনন্তকাল নয়। বাজার দরের সীমাহীন ঊধর্বগতির কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এদেশের গণমানুষের যে সীমাহীন সমর্থন ছিল, সেই জনসমর্থনে ইতিমধ্যে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊধর্বগতি জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ফলশ্রুতিতে জনসাধারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। দেশের জনসাধারণ ক্ষমতা চায়না, সাধারণ মানুষ খেয়েপড়ে বাঁচতে চায়, নিরাপদ জীবন চায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জনআকাঙক্ষা পূরণে আন্তরিক না হয়, তাহলে অচিরেই সরকার ব্যাপকভাবে জনসমর্থন হারাবে।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য রাস্ট্র সংস্কার, সংবিধান সংস্কার বা সংশোধন অতীব জরুরি। ক্ষেত্রবিশেষে রিসেটের প্রয়োজন আছে। কিন্তু রিসেট করতে গিয়ে বা ফ্যাসিস্টদের দমন করতে গিয়ে কোনো অবস্থাতেই দেশের ঐতিহাসিক দিবস সমূহ বাতিল করা উচিত হবে না বলে দেশের আপামর জনসাধারণ মনে করে। সম্প্রতি সরকার আটটি দিবস বাতিল করেছে। আটটি দিবসের মধ্যে ছয়টি দিবস নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে তেমন কোনো বিভক্তি নেই। কিন্তু ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চ ও ১৫ আগস্ট দিবস দুটি বাতিল হওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চ ও ১৫ আগস্ট দিবস দুটি পুনরায় বহাল করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আনা উচিত।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর নতুন বাংলাদেশ গঠন করার দায়িত্ব অর্পিত। একটি দেশে অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় বা দায়িত্ব থাকা উচিত নয়। যদি অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে, তাহলে জনসাধারণ সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক বা কল্যাণকর হবেনা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অতিদ্রুত সংস্কারের চুড়ান্ত রূপরেখা এবং নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করা। শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকারই দেশ চালাবে, এটাই স্বাভাবিক।
বিগত সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য হাজারো পথ অবলম্বন করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবাদী মানুষের গায়ে ট্যাগ লাগানো। সরকার ও আওয়ামীলীগের কোনো বিষয়ে সমালোচনা করলেই জামাত-শিবির, রাজাকারের ট্যাগ লাগিয়ে দিতো অনায়াসে পতিত সরকার। ট্যাগ লাগার ভয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবি মহলও তেমন একটা কথা বলার সাহস করেনি। বর্তমান ট্যাগের নাম ফ্যাসিস্ট। ফ্যাসিস্ট ট্যাগ লাগানো প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দায়িত্বশীল কোনো কোনো উপদেষ্টা ও সমন্বয়ক নতুন বাংলাদেশ গঠন করার বিষয়টি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার বিষয়ে যতটা না আগ্রহী, তার চেয়ে অধিক আগ্রহী আওয়ামীলীগকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে তুলে ধরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট বা ফ্যাসিবাদী, এটা এখন দেশের জনসাধারণ ভালোভাবেই জানে-বুঝে। ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে কথা বলুন, সমস্যা নেই। তার চেয়ে বেশি বেশি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলুন। জাতি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা শুনতে চায়, নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দেখতে চায়। ফ্যাসিবাদীরা টানা সাড়ে ১৫ বছর পরনিন্দা, পরচর্চা করেছে, হিংসা ছড়িয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে দেশবাসী শ্রদ্ধা- ভালোবাসার সংস্কৃতি শিখতে চায়। শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের গোঁয়ারতমি, দম্ভ, হিংসাত্মক আচরণ দেখেছে দেশবাসী। সত্যকে স্বীকার করার প্রবণতা আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের মধ্যে ছিলনা। প্রবাদে আছে, চাল সোয়া সের দেবো কিন্তু আমার কথা সবার উপরে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামীলীগের অবস্থা তাই ছিল। নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সমন্বয়কদের কথাবার্তায় আওয়ামী আচরণের প্রতিচ্ছবি জনগণ দেখতে চায়না।
১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ২২ পরিবারের লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের ছাত্র- জনতার গণ-অভ্যুত্থান ছিল ২২০০ পরিবারের লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে। গত সাড়ে ১৫ বছর দেশটা জনগণের ছিল না। দেশটা আওয়ামীলীগ ও লুটেরাদের ছিল। দেশটা দখল করেছিল লুটেরা। লুটেরা দৈত্যদের নাম- ঠিকানা সবাই জানতো। কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেতো না। দেশে লুটের উৎসব চলছিল। দেশে গণতন্ত্র নয়, লুটতন্ত্র চলছিল। ছোট- বড় নানা লুটেরা সিন্ডিকেট চেটেপুটে গিলে খেয়েছে বাংলাদেশ। তাই অতিকথন নয়, লুটেরা যাতে নতুন রূপে ফিরে না আসতে পারে, সেই পথ বন্ধ করার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। তাহলেই হাজার হাজার ছাত্র- জনতার আত্মত্যাগ, আত্মবলিদান স্বার্থক হবে।
বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি অঘোষিতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। পুলিশ, বিচার বিভাগ কোথায় ছিল না লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের দাপট। এমনকি মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের মধ্যেও দুর্নীতির শিকড় ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছিল। দুর্নীতিবাজদের হাতেই যেন সমর্পিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এইসবের বিরুদ্ধে জুলাই- আগস্টের সফল গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের ফসল সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতির শেকড় চিরতরে উপড়ে ফেলতে হবে। তা নাহলে এই দুর্বৃত্তরা প্রতি বিপ্লব ঘটাবে। দুর্নীতির নিরপেক্ষ এবং দ্রুত বিচার না হলে লুটেরা, দুর্নীতিবাজরা নতুন রূপে ফিরে আসবে।
লেখক: শাহজাহান সিরাজ সবুজ, সহযোগী সম্পাদক- দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ।