নিজস্ব প্রতিবেদক :
আশুলিয়ার জামগড়া ফেন্টাসী কিংডমের সামনে পোশাক-শিল্প কারখানায় অসন্তোষ সমাধানে এক আলোচনা সভা আয়োজন করে থানা শ্রমিক দল, এসময় বিএনপির কর্মীদের স্টেজে উঠতে বাধা দেওয়ায় ও অনুষ্ঠান আমন্ত্রন না জানানোয় সভা শেষে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদল সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম দুলাল মীর কে মারধোরের ঘটনা ঘটেছে।
আশুলিয়ার জামগড়ায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনতার সমাবেশে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম দুলাল মীর।
অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায় ভুক্তভোগী পরিবারে সাথেস কথা বলে। পরে গুরুতর আহত দুলাল মীরকে নেতাকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন। তবে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করার আশ্বাস দিয়েছেন সাভারের সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন বাবু। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠান স্থল থেকে।
জানা যায়, চলমান নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা থেকে গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষায় আশুলিয়া থানার সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে জামগড়ায় ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ সালাউদ্দিন বাবু , এ ছাড়াও বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত থেকে পোশাক শিল্প কারখানায় অসন্তোষ নিরোসন কল্পে বক্তব্য প্রদান করেন ।
আয়োজিত সভায় আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগে অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম দুলাল মীরের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষ সমাবেশ শেষে এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় দুলাল মীরের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা, গাড়ির চাবি ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বত্তরা।
আহত দুলাল মীর জানান, হামলায় স্থানীয় মোসলেউদ্দিন মীরের ছেলে আসাদ মীর (৪২), কামলা চৌধুরীর ছেলে শরীফ চৌধুরী (৪৫), জালালউদ্দিন মীরের ছেলে সোহরাব মীর (৫২), সোহরাব মীরের ছেলে মারুফ মীর (২৮), এনামুলের ছেলে এআর খান দীপু (৩০), তমিজউদ্দিন মীরের ছেলে সুমন মীর (৩৫) বকুল ভূঁইয়ার ছেলে রনি ভূইয়া ও রিপন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও জানান, যেহেতু আমার রাজনৈতিক অভিভাবক সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন বাবু ভাই বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানাযায় , সংবাদ লিখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি তবে মামলার প্রস্তিুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।