আঃ খালেক মন্ডল গাইবান্ধা :
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের নিমিত্তে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ পাকাঘর হস্তান্তরের লক্ষ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের প্রেসবিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান রিহান প্রেসবিফ্রিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নে এ উপজেলায় একজন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ব্যাপক কাজ করেছে এবং এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। চেষ্টা থাকবে সবসময় নিরন্ন-অসহায় মানুষের সাথে থাকার। অসহায় মানুষদের সহায়তার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে হবে। তারা স্বাবলম্বী হলেই দেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত একজনও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না ইনশাআল্লাহ্।
এ উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের (১ম ধাপ) ২৬৫টি ঘরের মধ্যে ৮৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট ১৮০টি পাকাঘর আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হবে ৯ আগস্ট। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে দেশব্যাপি ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় মানুষের মাঝে গৃহ ও জমি হস্তান্তরের অংশ হিসেবে এ উপজেলায় ঘর প্রদানের আনুষ্ঠানিক শুভ-উদ্বোধন করা হবে। উৎসব মুখর পরিবেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এদিন স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেয়র, স্ব-স্ব এলাকার সকল উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্র জানায়।
পলাশবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার পৃথক ৫ ইউনিয়ন ১৫টি গ্রামের বিপরীতে মোট ২৬৫টি’র মধ্যে প্রথম পর্যায় ৮৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ৯ আগস্ট অবশিষ্ট ১৮০টি ঘর উপকারভোগীর হাতে জমি ও ঘরের কবুলিয়তসহ অন্যান্য কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে। প্রেসবিফ্রিং-এ সহকারি কমিশনার (ভূমি) এস.এম ফয়েজ উদ্দিন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামানসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
উল্লেখ্য; এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ৬০টি, দ্বিতীয় ৪০, তৃতীয় ১৮৫টি এবং চতুর্থ ধাপে ২৬৫টি পরিবার পুনর্বাসনে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে মোট ৫৫০টি ঘর হস্তান্তর সম্পন্ন করা হল বলে জানা যায়।