আঃ খালেক মন্ডল গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে ভুয়া সিলিফে ভিজিএফ’র ১০ কেজি চাল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য গোলেজা বেগম ও জাফরসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকালে উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে ভিজিএফ’র ১০ কেজি করে চাল ২৩০৩টি কার্ডধারী উপকারভোগী পরিবারের মাঝে বিতরণ শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ান। ওইদিন দুপুরে একটি ভূয়া সিলিফ নিয়ে একজন ব্যক্তি চাল উত্তোলন করতে আসে। ভূয়া সিলিফে চাল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্রে-সস্ত্রে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খোর্দ্দকোমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ান-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে এনে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন ওই ইউপি’র ১১ ইউপি সদস্য। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছেন। অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ’র ১০ কেজি চাল বিতরণে ১১ ইউপি সদস্য তাদের ভাগ নেয়নি। এই জটিলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে ৭ বিশিষ্ট একটি কমিটি করে চাল বিতরণের পরামর্শ দেন ইউপি চেয়ারম্যানকে।
সেই মোতাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ান ওই কমিটির মাধ্যমে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভিজিএফ’র ১০ কেজি চাল বিতরণ শুরু করেন। ভিজিএফ’র ১০ কেজি চাল বিতরণে ওই ১১ ইউপি সদস্য তাদের ভাগ না নেয়াসহ বিতরণ কার্যে শরীক হয়নি। এদিন দুপুরে ভুয়া সিলিফে চাল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য গোলেজা বেগম ও জাফরসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। প্রথমে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে চাল বিতরণ বন্ধ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান দাড়িয়ে থেকে চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এলাকার সচেতন মহল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ানের অনিয়ম-দূর্ণীতি, ও স্বজনপ্রীতির কারণে এরকম ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম রেজওয়ানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।