
এ এইচ অনিক বিশেষ প্রতিনিধি
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পানাইল গ্রামের মৃত কামরুল ইসলাম এর বড় মেয়ে এস এ সি পরিক্ষার্থী অন্তরা খাতুন (১৬)গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার প্রকাশ গত বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অন্তরা নিজের ঘরে ঢুকে রুমের দরজা বন্ধ করেদেয়। এর পরে অনেক ডাকাডাকি করে দরজা খোলার অনুরোধ করলেও তারা ব্যার্থ হয়। পরে রুমের দরজা ভেঙ্গে অন্তরাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত আলফাডাঙ্গা উপজেলা হসপিটালে নেওয়া হলে ড. তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরে চলে আইনি প্রক্রিয়া। এ সম্পর্কে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মোঃ আবু তাহের বলেন আত্মহত্যা ঘটনাটিতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, যে-কারনে মরদেহটি প্রথমে সুরতহাল ও পোস্ট মর্টেম সম্পন্ন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।
পরবর্তীতে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখন দেখা যাক পোষ্ট মর্টেম রিপোর্টে কি আশে। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে পরিবারিক কলহের কারণে প্রায় ৮ বছর আগে অন্তরা কেয়া ও ছোটভাই তামিমকে রেখে মা ঝর্না বেগমকে ডিভোর্স দেন পিতা কামরুল ইসলাম ।ঐ-সময়েই ঘরে আশে তার সৎ মা তার ও একটি ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৫ মাস আগে হটাৎ স্ট্রোক করে বাবা কামরুল ইসলাম মারা জান। এর পর থেকেই অন্তরার স্বাধীন চলাচলে বাধা হয় তার দাদা দাদী ও ছোট কাকা রাজিব মোল্লা। তাদের নানা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না-করে নিজের পছন্দেই চলাচলের কারনে নিজেকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন অন্তরা, এমনটি জানিয়েছেন তার পরিজন।
এ বিষয়ে আমাদের একটি শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। যখন একটি পরিবার থেকে ৩টি নিষ্পাপ শিশু সন্তানের মা বাবা থেকে এদের আলাদা করা হয় বা ডিভোর্স দেওয়া হয়, তখন কি ঐসব পরিবার লোকজন একবারও ভাবেন না এসব শিশুদের নসিবে কি থাকবে। আবেগে বা অর্থ লোভে ঐ-সময় সবাই দায় দাইত্ব নিলেও পরে কারো খবর থাকেনা। এটাই বাস্তব। যার প্রমান এস এ সি পরিক্ষার্থী অন্তরার অকালে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যওয়া, বা আত্মহত্যার মাধ্যমে দুনিয়ার সব মায়া মমতা ত্যাগ করা। এমন ধারনা আশেপাশের পরিবার গুলোর। তাদের দাবি সামান্য বা তুচ্ছ ঘটনায় মেয়েটি আত্মহত্যার মতো জঘন্য কাজটি করলো, নাকি এর অন্য কোনো কারন ছিলো?
অবস্যই আইন শৃংখল রক্ষা বাহিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর সত্যতা উদঘাটন করবেন।