
এ এইচ অনিক : গতকাল সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলাধীন ১ নং ওয়ার্ড হাজরা খালী ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা বালি গোলাম শোকরানা রব্বানি আজাদ বালির বাড়ি ও তার ছোট ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম বালির বাড়িতে দুর ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়।
এসময় ঘরে থাকা নগত ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা (আনুমানিক) ৩৫ থেকে ৪০ ভরি স্বর্নলংকার ও দামি ৫ টি মোবাইল সেট নিয়ে চলে যায় ১৮ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল। ঘটনার প্রকাশ গতকাল সোমবার গভীর রাত ২টার দিকে হাজরাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম বালির বাড়ির ডাকাতির উদ্দেশ্যে ১৮ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল ভবনের পিছনে গ্রীল কেটে বাড়িতে ঢুকে পরে। এসময় তারা ঘরের আলমারি ও ওয়ারড্রব ভাংচুর করে। আলমারিতে থাকা সমিতির (আনুমানিক) প্রায় ১৫ লক্ষ নগত টাকা ও স্বর্নলংকার নিয়ে নেয়।
এসময় পাশের ভবনের মালিক এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় ইউ পি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ঠিকাদার গোলাম শোকরানা রব্বানী আজাদ বালির বাড়ির পেছনের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢকার চেষ্টা চালায় ডাকাত দল, দরজা বন্ধ থাকায় প্রথমে ব্যার্থ হয় তারা। এর পরে ১৫ থেকে ২০ জনের ডাকাত দল রাত ২টা থেকে ভোর ৪টা ৫ মিঃ পর্যন্ত চলে তাদের নানা নাটকিয়তা।
যেমন গ্রীল কেটে ঘরে নাঢুকতে না পেরে ঐ বাড়ির থেকে আজাদের ছোটভাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম বালিকে ধরে এনে আজাদের দরজায় কৌশলে নক করায় এবং আলম কে দিয়ে বলায় তার মায়ের অসুস্থতার কথা।
একথা শোনার পরেই কিছু না-বুঝে রুমের দরজা খুলে দেন আজাদ বালি। পরে তার ঘরেও চলে ডাকাত দলের তান্ডব, আর হাতিয়ে নেয় দুটি ভবনে থাকা আনুমানিক নগত ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা সহ ৩৫ থেকে ৪০ ভরি স্বর্নলংকার এবং দামী ৫টি মোবাইল ফোন সেট, ২ ঘন্টা টানা ডাকাতির পরে আনুমানিক প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়েছে বলে পরিবার সুত্রে বলা হয়।
ঘটনার পর কচুয়া থানা পুলিশ সহ বাগেরহাট জেলা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনির উর্ধতন কর্মকর্তা গন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার সহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের নির্ণয় ও তাদের গ্রেফতারে কঠর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনির উর্ধতন কর্মকর্তা গন।