
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
নদী বিধৌতি বরগুনার আমতলী উপজেলা। উপজেলার পৌরসভা থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ১ কিলোমিটারের অধিক বিশাল এই লেক। নীল স্বচ্ছ পানি আর মাছেরা খেলা করে সারাক্ষন।
পর্যটিকদের আকর্ষণ বাড়াতে তৈরি হয়েছে ভাশমান ক্যাফে। যে কেউ কফি পানের সাথে খেলা করতে পারবে মাছ আর জলের সাথে। এ যেন দৃষ্টি নন্দন লেক। লেকের উত্তর পাশে বট গাছের ছায়ায় বসে উপভোগ করা যাবে মনোমুগ্ধকর লেক। যারা মাছ ধরতে ভালোবাসেন তারা আপন মনে বসে পরতে পারেন ছিপ হাতে। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনাধীন এই লেকটি রক্ষণাবেক্ষণ আর অযত্ন অবহেলায় দূষনের পথে।
আমতলী পৌরসভার দক্ষিণ পাশের এই লেকটির সুন্দার্য বৃদ্ধি করা গেলে কুয়াকাটাগামী পর্যটকদের কাছে কার্ষনীয় হয়ে উঠাতে পারে। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্দ্যোগে নেয়া যাতে পারে নানা পরিকল্পনা এমনটাই মনে করে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে কথা বলেছিলাম আমতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহবুদ্দিন পান্নার সাথে তিনি বলেন, লেকের চারপাশে যদি ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ করা যায় পাশাপাশি যদি লেকের ভিতর ফোয়ারা ও বেশ কিছু রাইডের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে কুয়াকাটাগামী পর্যটকরা এই লেকের প্রতি আগ্রহী হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মজিবুর রহমান মনে করেন বড় ধরনের কোন প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এর উন্নয়ন করা যেতে পারে, এতে প্রায় শতকোটি টাকার প্রয়োজন।
এই লেকের চারপাশে ক্রমশই গড়ে উঠছে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অদূরে এই লেকটি তার সুন্দর্য হাড়াবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলখ্যে এক আলোচনা সভায় বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, যে কেউ ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগী হলে তাকে সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন।