এ এইচ অনিক বিশেষ প্রতিনিধি :
বারাকপুুর ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গাজী জাকির হোসেনের উপরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর, গত সোমবার মধ্যরাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।জনপ্রিয় এই নেতার অকাল মৃত্যুতে কাদছে বারাকপুর ইউনিয়ন ও দিঘলিয়া সহ খুলনার সকল শ্রেণির জনসাধারণ।
বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়াম্যান গাজী জাকির হোসেন রাজনৈতিক জিবনেও ছিলেন সবার কাছে প্রিয় ব্যাক্তি এ কারনেই, মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গাজী জাকির হোসেন। এছাড়ও ন্যায় নিতিবান অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী, গরিবের বন্ধু গাজী জাকির হোসেনকে অনেকে ফাটা কেষ্ট বলে ডাকতেন।
এ কারন, তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে আপোষ করেন-নি। তাইতো শত্রুদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অকালে প্রান দিতেহলো তাকে। গত প্রায় দুবছর আগে থেকে শেখ আনছার আলির সাথে বিরোধ চলছিলো গাজী জাকির হোসেনের তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন সন্ধ্যা ৭টার সময় তিনি নিজে মটর সাইকেল চালিয়ে উপজেলার আড়ুয়া ঘাট হয়ে বোয়লিয়া নামক স্থানে পৌছালে আগে থেকে ওতপেতে থাকা ৪ সন্রাসী হামলা চালায় এবং লোহার রড়, লোহার পাইপ ও রানদার কোপে গুরুতর আহত অবস্থায় নদিতে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে খুলনার একটি হসপিটালে পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজী জাকির হোসেন কে ঢাকায় নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধের পরে শেষপর্যন্ত তাকে মৃত্যুর কাছেই হার মানতে হলো গাজী জাকির হোসেনকে।
উল্যেক্ষ্যঃ এই দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী আবদুল হালিমকেও, উপজেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে সুগন্ধি এলাকায় সন্ত্রাসী মুন্নার গুলিতে অকালে প্রান হারাতে হয়েছিল। যদিও সন্ত্রাসী মুন্নারও একই পরিনতি হয়েছিলো! তবুও দিঘলিয়া উপজেলা বাসীর দাবি, হামলার সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি তাদের।