সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিবেদক: সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি জমির মালিকানা নিয়ে দুুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের নাশকতা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা আইনশৃংখলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে আব্দুর রহিমের ওয়ারিশ মহসিনা আক্তার হ্যাপি বাদি হয়ে মিলন গংদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা না পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকার মরহুম সাব্বির আলীর ছেলে মরহুম আব্দুর রহিম মিয়া নারায়ণগঞ্জ ৪র্থ মুনসেফী আদালতে দেঃ নং ১১৬/৭৫ ইং মূলে আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে আব্দুস সামাদ, দরবেশ আলীর ছেলে আব্দুল বারেক ও সূরুজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নানগংদের নিকট থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ঢাকা আদালতের দেঃ ডিং ১৬/৭৭ নং মোকাদ্দমা মূলে দেঃ নং ১১৬/৭৫ ইং মোকাদ্দমায় আব্দস সাত্তার কামাল দাইক পক্ষে সাফ কবলা দলিল নং ৮৯৫৯ তারিখ ১৩/১২/৮০ইং দলিল রেজিষ্ট্রি করে দিলে আব্দুস সাত্তার কামাল দাইক চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন। পরে মরহুম সাব্বির আলী সিকদারের ছেলে মরহুম আব্দর রহিম মিয়া ৩৬/৫৩ দলিল মূলে ১৪/১১/৯২ ইং তারিখে সোয় ৮৮ শতাংশ জমির মালিক হন।
আব্দুর রহিম মিয়া মারা গেলে তার ওয়ারিশগণ উক্ত জমির মালিক হয়। আব্দুর রহিমের ওয়ারিশ গণদের পক্ষে এ জমি নিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের সিভিল আপিল নং ২০৩/২০০৪ ইং ৫’জন বিচারপতি সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রায় প্রধান করে। বর্তমানে মৌচাক ব্যাংক কলনি এলাকার মৃত মোতালেবের ছেলে মিলন, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ইমরান হোসেন ও আমিনুল, মৃত ফালু মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন, মনির হোসেন, মোকতুল হোসেন ও আবুল হোসেনসহ কতিপয় ভূমিদস্যু এলাকার টাউট মাদবরদের পক্ষ করে জমির উপর অযথা জামেলা তৈরি করছে।
এ ব্যাপারে মিলন বলেন, আমাদের জমি এসএ ১০২নং খতিয়ানে ১০৫শতাং জমি যা আমাদের দখলে আছে। আব্দুর রহিমের ওয়ারিশদের দাবি অনুযায়ী তাদের জমি এসএ ১৩২নং খতিয়ানে যা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বিলিন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী আব্দুর রহিমের ওয়ারিশ মহসিনা আক্তার হ্যাপি জানান, এসএ ১৩২নং খতিয়ানে আমাদের এ জমি। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এ জমি ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ করে কতিপয় ভূমিদস্যুরা তাদের জমি বলে দাবি করছে