
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউপি’র প্রধান সড়কের ধারে লাগানো মাদ্রাসার পাঁচটি গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলো শোলাগাড়ি এলাকার মৃত নান্নু মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া। বর্তমানে গাছের গুলোই গুলো জব্দ করে নিজ হেফাজতে নিয়েছেন ঘাগোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু।
জানাগেছে (৫ নভেম্বর, শনিবার) ভোরে গাছের বেপারী ও গাছকাটা লেবার সাথে নিয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত বালু খেকো সোহেল রুপার বাজার হাজী জেসারত উল্লাহ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার বড় বড় পাঁচটি ইউক্লিপটাস গাছ কাটতে থাকে।
সোহেল মিয়া গংরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস দেখায় না। কিন্তু বিধিবাম। ৫ নভেম্বর শনিবার সকাল আটটার দিকে গাছ কাটা অবস্থায় সেখানে উপস্থিত হন তিনজন গণমাধ্যম কর্মী।
তারা লেবার এবং দাঁড়িয়ে থাকা সোহেল মিয়াকে গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত সোহেল কথার উত্তর না দিয়ে উল্টো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
একপর্যায়ে তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হলে ওই গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে অবগত করেন। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ এসে গাছগুলোকে জব্দ করে এবং ঘাগোয়া ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইদার রহমান সাদা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঘাগোয়া ইউপি চেয়ারম্যান জনতার সময়’কে বলেন, ইউএনও’র নির্দেশ পেয়ে গাছগুলো আমরা আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। পরবর্তী আইনগত কি ব্যবস্থা সেটাও ইউএনও সিদ্ধান্ত নেবেন।
অপরদিকে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুল্লাহ নূরী জানান, আমাদের কাউকে না জানিয়ে সোহেল মিয়া গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছেন, আমরা তার শাস্তি চাই।
এছাড়া একাধিক এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযুক্ত সোহেল মিয়া ঘাগোয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন খাস জায়গা জমি থেকে চুরি করে মাটি কেটে বিক্রি করেন ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল মিয়া বলেন, আমি এসব ব্যবসা করি সেটা সবাই জানে, আপনাদের কি করার আছে করেন।