
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোসাৎ বিনা আক্তার নামের এক নারীকে পিটিয়ে জখমের পর অপহরণের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বারদী বাজার সংলগ্ন বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারী মোসামৎ বিনা আক্তারকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহতের স্বামী বাদী হয়ে বুধবার সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামের সাদেকুর রহমানের সাথে একই এলাকার হাসান মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছে। হাসান মিয়ার স্ত্রী মোসাৎ বিনা আক্তার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যাওয়ার পথে এ শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে সাদেকুর রহমানের নেতৃত্বে শাকিল আহম্মেদ ও জামাল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়াসহ ৮-১০জনের একটি দল বারদী বাজার সংলগ্ন বিদ্যুৎ অফিসের সামনে গতিরোধ করে পিটিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে একটি প্রাইভেট কার যাহার নং ঢাকা মেট্রো গ-৮৬১০ জোরপূর্বক টেনে হেচড়ে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এক সময় ওই নারীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রাস্তায় ফেলে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে স্বজনরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত নারীকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত নারীর স্বামী মো. হাসান বাদী হয়ে গতকাল বুধবার সকালে সোনারগঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত মোসাৎ বিনা আক্তার জানান, আমার বোন শাহিদাকে ২০২১ সালে প্রতিপক্ষরা হত্যা করে। এ হত্যা মামলা আমাদের স্বজনদের বাদি হতে দেয়নি সাদেকুর রহমান। এ নিয়ে তার সাথে আমাদের বিভিন্ন সময়ে কথাকাটাকাটি হয়। এতে সে আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে যায়। নিহত শাহিদার মেয়ে শারমিন আক্তার বাদি হওয়ার রায় পেতে আদালতে দ্বারস্থ হয়। এর পর থেকে আমাদের আত্মীয় স্বজনদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে সাদেকুর রহমান তার লোকজন।
অভিযুক্ত সাদেকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শাহিদা তার আত্মীয়। এ হত্যাকান্ডের সময় তাদের পরিবারের লোকজননের অনুমতিতে আমি বাদি হয়েছি। তবে এ নিয়ে আদালতে দুটি মামলা চলমান। বিনা আক্তারের মারধরের সঙ্গে আমি জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।