সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের। উপ-পরিদর্শদ মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এজহার নামীয় ৫০’জনসহ অজ্ঞাতনামা ১২০/১২৫’জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১০ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সুমিলপাড়া সাকিনস্থ বিহারী ক্যাম্প সংলগ্ন আদমজী বড় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পরবর্তী পূর্ব নির্ধারিত যে বিক্ষোভ কর্মসূচী ছিল, সে সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহসহ জুম্মার নামাজ পরার উদ্দেশ্যে মসজিদ এলাকার বিট ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক উক্ত মসজিদে প্রবেশ করেন। নামাজের পূর্বে ইমাম সাহেবের বক্তব্যের একপর্যায়ে ইমাম সাহেবের অনুমতিক্রমে উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়া একই তারিখ দুপুর দেড়টায় মাইক নিয়ে মসজিদে থাকা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় ভারতের ঘটনার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং ভারতের বিষয়টি যাতে আমাদের দেশে কোন প্রভাব ফেলতে না পারে এবং কোন বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়ে উপস্থিত মুসল্লিদের শান্তিপূর্নভাবে থাকার আহ্বান করিলে মসজিদে থাকা পিছনের সারি হইতে কিছু উচ্ছৃংখল যুবক উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হকের বিরদ্ধে হট্রগোল শুরু করেন। হট্রগোলের একপর্যায়ে বিবাদীগন উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে মসজিদে থাকা সুতরা লাঠি, চেয়ার, জুতা রাখার কাঠের ও প্লাষ্টিকের বাক্স দিয়ে এলোপাথরী ভাবে পিটাইয়া, কপালে, নাকের উপর, চোখের নীচে, ঠোটে, পিঠে, হাটু, পায়ে আঘাত করিয়া গুরুত্বর জখম করার এক পর্যায়ে উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক মসজিদে লুটাইয়া পড়িলে স্থানীয় মুসুল্লীগন তাহাকে বাঁচানোর জন্য মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাস্টারের বাড়ীতে নিয়া গেলে সংবাদ পাইয়া থানার অফিসার ফোর্স তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক, উল্লেখিত মসজিদ এলাকার বিট ইনচার্জ। বিট ইনচার্জ হিসাবে তিনি উক্ত মসজিদ সংলগ্ন বিহারী ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবত মাদক, কিশোর গ্যাং বিরোধী জোরালো অভিযান পরিচালনা করায় মাদকের সহিত সংশ্লিষ্ট এবং কিশোর গ্যাং এর সদস্য এজাহারে উল্লেখিত এবং অজ্ঞাতনামা বিবাদীরাই উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হকের উপর পূর্ব আক্রোশ বশতঃ উক্ত ঘটনা ঘটায়। এজাহার নামীয় ৫০’জন সহ অজ্ঞাতনামা ১২০/১২৫’জন বিবাদীরা একই উদ্দেশ্যে সরকারী কর্তব্য কর্মে বাধাদানসহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া গুরুতর জখম ও ক্ষতি সাধনের অপরাধ করায় এসআই মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হইয়া উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে অভিযোগ দায়ের করিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৭, তারিখ-১১/০৬/২০২২ ইং ধারা-৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০৭/ ৪২৭/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। ঘটনার সহিত জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই।