
আড়াইহাজার সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেছেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সিসি ( শর্টসার্কিট) ক্যামেরা থাকলে অপরাধীদেরকে সনাক্ত করা সহজ হয়ে যেতো। ফলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতো । সম্প্রতি উপজেলার গোপালদী বাজারে সংঘটিত একটি বাড়ীতে চুরি ঘটনা এবং সিসি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে চোর সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার গোপালদী বাজারে অবস্থিত মুছা মিয়ার মালিকানাধীন দালানের ৫ম তলার ভাড়াটিয়া ইউপি সদস্য জামির হোসেনের বাড়ীতে সংঘটিত চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে একটু দেরীতে হলেও চোর সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করার ঘটনা উল্লেখ করে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, গত ২২সেপ্টম্বর উপজেলার গোপালদী বাজারের ওই বাড়ী থেকে ১০ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। পরে ওই দিনই জামির হোসেন আড়াইহাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই শহিদুল দীর্ঘদিন তদন্ত করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরির ঘটনায় জড়িত উপজেলার গোপালদী গাজীপুরা গ্রামের গাজী মাসুদের ছেলে স্বাধীন (২০) কে সনাক্ত করেন।
পরে ২২ অক্টোবর শুক্রবার রাত ২টায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার সাথে আরো একজন জড়িত ছিল বলে স্বাধীন পুলিশের নিকট জানান। এর আগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সেলিম মিয়ার চুরি যাওয়া একটি হোন্ডা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়ে ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, আড়াইহাজারে অনেক প্রতিষ্ঠানে, হাট-বাজারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি ক্যমেরা নেই। সিসি ক্যামেরার উপকারিতা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান মালিকদেরকে সচেতন করতে হবে এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যমেরা স্থাপন করা হলে অপরাধী সনাক্ত করতে পুলিশকে অতটা বেগ পেতে হবে না।