
আমতলী,বরগুনা প্রতিনিধি:
জমে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। সকাল,বিকেল, সন্ধ্যে কিংবা রাত সারাক্ষনই চলছে প্রার্থীদের জনসংযোগ। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদের নির্বাচন। ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির। আর সদস্য পদে ২ নং ওয়ার্ড আমতলী থেকে নির্বাচন করছেন ৪ জন প্রার্থী। তারা হলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য তালা প্রতিক নিয়ে এডভোকেট আরিফ উল হাসান আরিফ টিউবয়েল প্রতিকের মো. আবুল বাশার নয়ন মৃধা ও হাতীপ্রতীকের আহুরুজ্জামান আলমাস খান, বৈদ্যুতিক পাখার মো. নাসির উদ্দিন । আমতলী উপজেলা ২ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১০৪ জন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও মেম্বার দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা পৌর যুবলীগ সভাপতি এডভোকেট আরিফ উল হাসান ই তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন।ইতিমধ্যে প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে ভোট চাইছেন এবং দোয়া প্রার্থনা করছেন।দিচ্ছেন নির্বাচিত হতে পারলে সৎ ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার। ইতিমধ্যে তিনি আমতলী পৌর সদর সহ হলদিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, কুকুয়া. চাওড়া, গুলিশাখালী, আঠারগাছিয়া,ইউনিয়ন ও আমতলী পৌর সভার মেয়র,কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে কুশল বিনিময় সহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে ভোটারদের মন জয় করে চলেছেন।
সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান হলে আরিফ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন ভোটারা।
অবৈধ অর্থ লেনদেন, ভোটারদের ভয়ভীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আরিফের বিকল্প নেই বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার।
এ বিষয়ে তালা প্রতিকের প্রার্থী এডভোকেট আরিফ বলেন, ভোটারদের সারা দেখে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী ইনশাআল্লাহ । আমি ভোটার ও সাধারন জনগন সকলের দোয়া ও সমর্থনে বিজয়ী হলে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে জেলা পরিষদ এর প্রাপ্ত বরাদ্দ সুষম বণ্টন করব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলীর সাবেক এই জেলা পরিষদ সদস্য ব্যক্তিগত অর্থে অসহায় দরিদ্র মানুেষর জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আর্থিক ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া মসজিদ মাদ্রাসা মন্দিরে অনাবরত দান করে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালে ভয়াবহ সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যমত ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট এম এ কাদের মিয়ার মেজ ছেলে আরিফ। তিনি ছাত্র জীবন ছাত্রলীগ ও পরে পৌর যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমতলীর ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান মি.আরিফ।
ইতিমধ্যে ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোটারদেও সাথে আলোচনা করা জানা যায় অন্যান্য প্রার্থীও চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ঘুরে দেখা যায় সদস্য পদে প্রার্থীরা শিক্ষিত ও স্বচ্ছ ইমেজের প্রার্থীদের প্রাধান্য দিচ্ছে।
তবে অধিকাংশ ভোটাররাই মনে করেন অবৈধ অর্থ লেনদেনে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। তাহলে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হবেন বলে মনে করেন তারা।