
আল মাসুদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। আবার পরের বছর শরতে তিনি আসবেন এই ধরণীতে তার বাবার গৃহ।
বুধবার (৫ অক্টোবর)পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয় সন্ধা পর্যন্ত। সারা বাংলাদেশের ন্যায় গত (১ অক্টোবর) দুর্গাপূজা শুরু হয় এবং (৫ অক্টোবর) পঞ্চম দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
প্রতিমা বিসর্জন চলাকালে দেখা যায়না, জেলা শহরের সড়কে এবং করতোয়া নদীর বিসর্জন ঘাটের আশেপাশে ছিল পুলিশের টহল। নদীতে দায়িত্বে ছিল ফায়ার সার্ভিসের টিমও। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাদা পোশাকেও প্রস্তুত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয়। দেবী দুর্গা এবার গজে এসেছেন ফিরে গেলেন নৌকায় করে।
পুলিশ সুপার এস,এম, সিরাজুল হুদা (পিপিএম) বলেন, আজ প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এবং সুষ্ঠভাবে তা সম্পন্ন হয়েছে। যারা আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবধন বর্মন বলেন,সারা বছরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আর এই দুর্গাপূজায় অনেক আনন্দ হয়। কিন্তু বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটে মহালয়া পূজা উপলক্ষে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হওয়ায় আমরা প্রতিটি পূজা মণ্ডপে শোক ব্যানার টাঙ্গীয়েছি। শোক বার্তা দিয়েছি, তাদের আত্মার শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেছি।এবং প্রথম পুজোর দিন থেকে অনাড়ম্বর পরিবেশে পূজা উদযাপন করে আসছি, শেষদিনে ও অনাড়ম্বর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছি। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর যাতে না ঘটে সে জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি।
এবার সদর জেলার ৪৯টি আটোয়ারী ৩০টি তেতুলিয়ায় ৯টি বোদা ৯৫টি দেবীগঞ্জ ১১৪টিসহ মোট ২৯৭টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।