শাহাদাৎ হোসেন: নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের খানকায়ে জামে মসজিদ থেকে ডেমরা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে যানজট ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সর্বক্ষণ সরকটিতে যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় যানজটের আকার তীব্ররূপ ধারণ করে। সড়কটিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় চালকদের খেয়াল খুশি মত বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। ফলে কয়েকটি এলাকার লক্ষাধিক মানুষ নিত্যদিন যানজট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, শিমরাইল মোড় ডিএনডি সেচ খালের পশ্চিম পাশ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ডেমরা পর্যন্ত সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের সানারপাড়, নিমাকাইকাশারী, আদর্শনগর, বাঘমারা, রসুলবাগ, ডেমরার সারুলিয়া, বক্সনগরসহ ১০/১২ টি এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। যাত্রী বহনের জন্য সড়কটিতে চলাচল করছে মিশুক ও অটোরিকশাসহ অন্তত ২’শতাধিক বাহন। খানকায়ে জামে মসজিদ ও হক সুপার মার্কেটের সামন থেকে যাত্রী নিয়ে এসব বাহন ডেমরাসহ নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করছে। সরকারি চাকরিজীবী, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার হাজার হাজার শ্রমিক সকাল-সন্ধ্যায় আসা যাওয়া করে এই সড়ক দিয়ে। সড়কটিতে নেই কোন ট্রাফিক ব্যবস্থা। ফলে যানবাহনগুলো চালকদের কেয়ালখুশি মতে এলোপাথারিভাবে চলাচল করে। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ফলে কর্মজীবী মানুষগুলো সময় মতে কর্মস্থলে যোগদিতে পারছেন না। বাহন থাকলেও যানজটের কারণে পায়ে হেটে চলাচল করতে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনকে।
আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা আয়েশা আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ৬ টায় বাসা থেকে বের হলে বটতলায় এসেই যানজটে পড়তে হয়। বটতলা থেকে খানকা মসজিদ পর্যন্ত আধা কিলোমিটার আসতে সময় লাগে আধা ঘন্টার উপরে। অথচ হেটে আসলে লাগে মাত্র ৫/৬ মিনিট।
নিমাইকাশারী এলাকার কোহিনুর আক্তার বলেন, এসড়ক দিয়ে গাড়ির চেয়ে পায়ে হেটে আগে যাওয়া যায়। তাই বেশিরভাগ সময় হেটেই যাই।
রফিকুল ইসলাম নামে একজন অটোরিক্সা চালক বলেন, ৩ নং ওয়ার্ডে বহু মিশুক ও অটোরিকশার গ্যারেজ রয়েছে। এসব গ্যারেজ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন লোকজন চালাচ্ছে। গ্যারেজ মালিকরা নিজ উদ্যোগে দুই তিন জন ভলান্টিয়ার নিয়োগ দিলে যানজট সৃষ্টি হতনা। যানজট নিরসনের লক্ষে নিয়োজিত ভলান্টিয়ারের বেতন দিতে প্রতিটি গাড়ি চালক দৈনিক ১০ টাকা করে চাঁদা দিতে রাজি থাকলেও কেহ কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা।
এবিষয়ে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই (প্রশাসন) একে এম শরফুদ্দিন বলেন, সড়কটি আমাদের অধিনস্থ নয়। তবুও জনস্বর্থে খানকায়ে মসজিদ থেকে হকসুপার পর্যন্ত যানজট মুক্ত রাখার চেষ্টা করি।