সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত ২৪ ও ২৫ আগষ্ট অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষাণা দেয়। জেলার প্রবেশদ্বার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে জেলা শহর পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হয় গত ২২ আগষ্ট।
সুনামগঞ্জ সড়কে মাইকে ঘোষণা পাশাপাশি সড়ক জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়ালে গণবিজ্ঞপ্তি হিসেবে লিফলেট লাগিয়ে প্রচার-প্রচারণা করা হয়। এতে সরকারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘোষনার পর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়াবাজার, ধারনবাজার এলাকায় বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা নিজ নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে ফেলা ও দোকানের মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অদৃশ্য কারনে ২৪ ও ২৫ আগষ্ট এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জ, ডাবর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শেষে সিলেটের দিকে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে ছাতকের জাউয়াবাজারে দুই একটি দোকান ভিটায় এক্সেভেটর লাগানো হয়। এসময় অদৃশ্য কারণে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে সিলেটের দিকে চলে যান কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের কোথাও কোন উচ্ছেদ অভিযানের খবর জানা যায়নি। জাউয়াবাজার, গোবিন্দগঞ্জ ও ধারনবাজার এলাকায় সরকারী জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হবে এমন ঘোষনা দিয়ে কেন উচ্ছেদ করা হয়নি এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচানর ঝড়।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কয়দিন পর পর উচ্ছেদ অভিযান করলেও দুই একদিন যেতে না যেতেই ফের স্থাপনা নির্মিত হয়। এতে উচ্ছেদ অভিযানের কোন সফলতা আসেনা। অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ফুটপাত বা সরকারী জায়গা থেকে মার্কেটের মালিকরা বড় অংকের টাকায় দোকান ভিটা ভাড়া দিয়ে ওই ভাড়ার টাকা তারা পকেটস্থ করেন। এমনকি জুতা সেলাইকারী মুচিও প্রতিদিন মার্কেট বা মূল দোকানিকে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম জানান, একাধিকবার এখানে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী সুনামগঞ্জ থেকে ডাবর স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতালের কারণে গোবিন্দগঞ্জ ও জাউয়াবাজারে উচ্ছেদ অভিযান করা সম্ভব হয়নি। আগামী রোববার হবিগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযান আছে। পরবর্তী দফায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া য়ায়।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মামুনুর রহমান জানান, উচ্ছেদ অভিজান পরিচারনা করা হবে এর জন্য আমাদের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছিল। এর পর আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন।