নিজস্ব প্রতিনিধি: নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবিদ হাসান রাকিব বাদী হয়ে ৯’জনের নাম উল্লেখসহ ২৫’জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা (যার নং-৪৫) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মোঃ স্বপন ওরফে কসাই স্বপন (৩২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের টিসি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামসহ ৫ জন আহত হন।
মামলার এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, টাইগার ফারুক (৪২), তানজিম কবির সজু (৩৮), মোঃ আরাফাত রহমান বাবু (২৯), মিলন হোসেন (৩০), মোঃ সোহেল (৩২), মোঃ শরীফ (২৯), মোঃ স্বপন ওরফে কসাই স্বপন (৩২), মোঃ সিফাত হোসেন (২৪), মোঃ জসিম হোসেন (৩৮)।
হামলার শিকার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় যানজট নিরসনের জন্য সুজন নামের এক যুবককে লাইনম্যান নিযুক্ত করেন তিনি। সন্ধ্যার আগমুহূর্তে তিনি যখন যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন করছিলেন ওই সময় ফরহাদ নামের এক লোক উল্টোপথে যাচ্ছিলেন। তখন সুজন তাকে উল্টোপথে আসতে বাধা দিলে ফরহাদ তাকে মারধর করেন। তৎক্ষণাত এ ঘটনা সুজন আমাকে জানালে আমি ফরহাদকে অফিসে নিয়ে আসতে বলি। তখন মাগরিবের আজান দিয়ে দেওয়ায় আমি ফরহাদকে অফিসে রেখে নামাজ পড়তে যাই। এর কিছুক্ষণ পর সে ফোন দিয়ে তানজিম কবির সজু, টাইগার ফারুক, তার সহকারী বাবু, মিলন, শরীফসহ আরো কয়েকজনকে জানায়। তারাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আমার কার্যালয়ে এসে হামলা করে। আমি তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা আমার ওপরও হামলা করে। এ ঘটনায় আমার কার্যালয়ের উজ্জল, টিপু সুলতান, কামরুল, সুজন আহত হন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।