
এ এইচ অনিক বিশেষ প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলাধীন সাতলার সৌন্দর্য ও বিনোদন কেন্দ্র নামে পরিচিত ৫৬০ মিঃ সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের এ্যাপ্রজ ও সেতু নির্মানের অধিকগ্রহণের জমিটি নিয়ে স্থানীয় ( পুর্বের মালিকানা দাবিদার) দুটি পরিবারের মাঝে দ্বন্ধ দীর্ঘদিনের। এক পক্ষ মোঃ মোস্তাফিজ হাওলাদার চাপলুস ও অন্য পক্ষ মোঃ মোতালেব বিশ্বাস এদের মাঝে দীর্ঘদিনের বিরোধ থাকয় ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
তবে স্থানটিতে মোস্তাফিজদের স্থাপনা থাকলেও পর্বে ওখানে মোতালেব বিশ্বাসের কোনো কাঁচা বা পাকা স্থাপনা ছিলোনা। তবে মোতালেব বিশ্বাসের পক্ষে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া ঐ জমির উপর, এর পর থেকে অপর পক্ষের সাথে চলে আইনি দৌড়ঝাপ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কয়েকবার মিমাংসার চেষ্টা চলমান থাকলেও কোনোকিছুরই তোয়াক্কা না-করে বড়ো আকারের দুটি দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন মোতালেব বিশ্বাস। তার দাবি আমার মালিকানা জমিতেই আমি ঘার নির্মাণ করেছি।
অপর পক্ষের দাবি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ্যপ্রোজের খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ ও বালু ভরাট করে দোকান নির্মাম করেছে ভূমিদস্যু মোতালেব বিশ্বাস। তাই এর কবল থেকে বরিশাল টুঙ্গিপাড়া সড়কের ব্রীজের এ্যাপ্রোস দখলমুক্ত করার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।
গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সাতলা ব্রীজ সংলগ্ন একতা বাজারে মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদার ওরফে চাপলুশের নেতৃত্বে কয়েকশো লোকজন নিয়ে মোতালেব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রিন্টু হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হাওলাদার, মাসুদ হাওলাদার, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলম হাওলাদার, ব্যবসায়ী মোঃ সজল হাওলাদার, মোঃ হারুন মোল্লা, টিপু হাওলাদার, তরিক হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান হাওলাদার,, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন হাওলাদার, শাজাহা বালীসহ শতশত এলাকাবাসী।
সূত্রেমতে আরো জানা যায়, সাতলার আলামদি মৌজায় ১৮৬ নং খতিয়ানে ৪১ শতাংশ জমি মোস্তাফিজুর রহমান হাওলাদার গং, রিন্টু হাওলাদার গং, মাসুদ হাওলাদার গংদের নিকট থেকে ব্রীজ নির্মাণকালীন সময়ে সরকার জমি অধিগ্রহন করে। অধিগ্রহনকৃত জমি ছাড়াও অবশিষ্ট জমি ওই মালিকদের রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, আমাদের প্রতিনিধিকে জানান রেকর্ডীয় জমি এবং আদালতের মামলার রায় আমাদের পক্ষে হওয়ার কারনে আমরা দোকান ঘর নির্মাণ করছি এবং ঘরের সামনে চলাচলের জন্য সরকারি অধিগ্রহনের জমি খালি থাকায় আমাদের চলাচলের সবিধার্থে ওখানে বালু ফেলে ডোভাটি ভরাট করেছি এখানে আইন অমান্য করার মতো কোনোকিছুই হয়নি।
এবিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান মোতালেব বিশ্বাস, সরকারি জমি দখল করে তাতে বালুভরাট ও রাস্তা দখল করে একাধিক দোকানঘর নির্মাণ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিন উদ্দিন জানান, আমি ঘটনাটি জানার পরে, এস আই আছাদ ও এ এস আই সুমনকে বিষয়টি দেখার জন্য ঘটনাস্থলে পঠিয়েছিলাম, তবে আইন অমান্যকরলে ও আইনকে হাতে তুলে নেওয়া হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।