গাজীপুর প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তার ও চুরি করা লোহা বিক্রির টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার সামনে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয় । এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় এশিয়ান টেলিভিশন ও বার্তা বাজারের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) পযন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা কথিত রাসেদ খান মেনন, এনামুল হক অনিক ও তাইজুল ইসলাম।
এলাকাবাসীরা জানায়, মাসখানেক আগে কাঁঠালদিয়া বস্তির উচ্ছেদকৃত জায়গায় বাংলাদেশ স্টিল কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের বিপুল পরিমাণ লোহার রড চুরি হয়। ওই লোহা বিক্রির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাসেদ খান মেনন ও অনিক গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের কিশোরদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে উভয় গ্রুপ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা ফটকের সামনে সংঘর্ষ বাধে।
এসময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা সাংবাদিক আরিফের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আরিফ চৌধুরী বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী বলেন, রাত ১১টার দিকে মিত্তিবাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ শেষে টঙ্গী পশ্চিম থানার সামনে আসলে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে থানায় অভিযোগ দিতে আসা দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। এসময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময় আশরাফুল ইসলাম বাবু নামে একজন আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে ২০-৩০ জন কিশোর আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে কিল-ঘুষি মেরে আমার সাথে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও এশিয়ান টেলিভিশনের আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় থানা পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই গ্রুপকে লাঠিচার্জ করে নিভৃত করে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।