ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুর ভাঙ্গায় কালামৃধা ইউনিয়নের সাওথার গ্রামের মালেক শিকদারের পৈত্রিক বাগান ও ফসলি জমিতে সোনামিয়া গংরা জোর করে জবর দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মালেক শিকদার অভিযোগ করে বলেন, আমি কর্মের জন্য দীর্ঘদিন বাড়ির বাহিরে ছিলাম, সেই সুযোগে সোনা মিয়া গং রা আমার অনুপস্থিতিতে প্রভাব খাটিয়ে বিএস রেকর্ড করিয়ে ফেলে। কিন্তু সোনামিয়া গংরা সাওথার গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতেও চায় না।
তিনি আরো বলেন, সিএস আমার দাদা বারু শিকদারের নামে যার দাগ নং ৩৫০ সি এস খতিয়ান ১০৮ এবং আর এস দাগ নং ১৩৫ খতিয়ান নং ১৭৬। এস এ আমার দাদি ছুটু খাতুন জং বারু শিকদারের নামে এস এ দাগ নং ৪৬৮২ খতিয়ান নং ২২৪। আমার বাপ-চাচা দুই ভাই কিন্তু আমার চাচার কোন ওয়ারিশ না থাকায় আমার পিতাই সম্পত্তির মালিক থাকেন। যার দাগ নং ৬৩৩ এ ২২শং ৬৩৫ এ ১০শং এবং ৯১৮ এ ২১শতাংশ সহ মোট ৫৩ শতাংশ বাগান ও ফসলি জমিতে সোনামিয়া বেপারী ও তারা মিয়া বেপারী গং কতৃক জোর করে দখলে নেওয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। আমি কয়েক বছর আগেও এই জায়গা থেকে গাছ কেটেছি। কিন্তু কয়েক মাস আগে আমার প্রয়োজনে গাছ বিক্রি করলে সোনামিয়া গং বাঁধা প্রদান করে। আমি তাহাদের নামে ভাঙ্গা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করি ২০১৫ সালে কিন্তু তারা কেউ আদালতে উপস্থিত হয়নি।
মালেক শিকদার আরো বলেন, আমি হতদরিদ্র ও দিনমজুর হওয়ায় এলাকার মানুষ সত্যি কথা বলতেও ভয় পান। সোনা মিয়া বেপারী গং এলাকার ত্রাস। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করায় বাড়িতে থাকতে পারি না তাই কালামৃধা একটি ভাড়া বাড়িতে থাকি।
এই ব্যাপারে সোনামিয়া গং দের সাথে কথা হলে জানান, আমরা দলিল অনুযায়ী জমির মালিক, সেই হিসেবে বি এস রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। আমরা কারো জমি দখল করি নাই।
উল্লেক্ষ্য যে, সোনা মিয়া বেপারী তাহার পিতার (আব্দুল আজিজ বেপারী) নিকট হইতে ১৯/০৮/১৯৯৭খ্রিঃ একটি দলিল করে নেন যার দলিল নং ২৪৭৪/৯৭। এই দলিলের কোন পীতদলিল দেখাইতে পারে নাই বলে জানিয়েছেন মালেক শিকদার।
মালেক শিকদার বলেন, আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই এবং আমার পৈত্রিক সম্পত্তি যেন আমি ভোগদখল করতে পারি সেই ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করি। ফরিদপুরের ভাঙ্গা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা চলমান।
এই ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দফায় দফায় মিমাংসার চেষ্টা করেও কোন শুরাহা করতে পারেননি এবং যেহেতু ব্যাপারটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তাই মহামান্য আদালত যে রায় দেবেন তাই সকলের মেনে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তারা।